• অক্টোবর ১৪, ২০২২
  • শীর্ষ খবর
  • 226
প্রতিটি চা-বাগানে প্রাথমিক বিদ্যালয় স্থাপন করা প্রয়োজন: চা শ্রমিক ফেডারেশন

নিউজ ডেস্কঃ চা-শ্রমিকদের ভূমির অধিকার দেওয়া উচিত। এ ছাড়া তাঁদের রেশন বাড়ানোর পাশাপাশি শিশুদের শিক্ষা নিশ্চিত করতে প্রতিটি চা-বাগানে প্রাথমিক বিদ্যালয় স্থাপন করা প্রয়োজন। প্রতিটি বাগানে এমবিবিএস চিকিৎসক নিয়োগসহ চিকিৎসাসেবা উন্নত করার পাশাপাশি বর্তমান বাজারদর বিবেচনায় এনে শ্রমিকদের দৈনিক মজুরি অন্তত ৫০০ টাকা নির্ধারণ করা উচিত।

আজ শুক্রবার বেলা তিনটায় বাংলাদেশ চা শ্রমিক ফেডারেশন সিলেট জেলা শাখার উদ্যোগে আয়োজিত এক আলোচনাসভায় বক্তারা এসব কথা বলেন। এর আগে ফেডারেশনের উদ্যোগে নগরের চৌহাট্টা এলাকার সিলেট কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার থেকে শোভাযাত্রা বের হয়। পরে সিলেট জেলা আইনজীবী সমিতির ৩ নম্বর বার মিলনায়তনে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

ফেডারেশনের সিলেট জেলা শাখার সভাপতি বীরেন সিংহের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক অজিত রায়ের সঞ্চালনায় সভায় বক্তব্য দেন বাংলাদেশ চা শ্রমিক ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় কমিটির উপদেষ্টা উজ্জল রায়, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য শফিকুল ইসলাম, বাংলাদেশ শ্রমিক কর্মচারী ফেডারেশন সিলেট জেলার আহ্বায়ক মোখলেসুর রহমান প্রমুখ।

সভায় বক্তারা বলেন, জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধিতে নিত্যপ্রয়োজনীয় সব জিনিসের দাম বেড়ে শ্রমিকদের জীবন দুর্বিষহ করে তুলেছে। সব পর্যায়ের শ্রমিকদের অবস্থা খুবই শোচনীয়। তবে চা-বাগানের ক্ষেত্রে অবস্থা আরও অমানবিক, নাজুক। সম্প্রতি চা–শ্রমিকদের যে মজুরি নির্ধারণ করা হয়েছে, তা বর্তমান বাজারের সঙ্গে সংগতিপূর্ণ নয়। তাই চা-শ্রমিকদের দৈনিক মজুরি অন্তত ৫০০ টাকা করা উচিত।

আয়োজকেরা জানিয়েছেন, গত সোমবার কাউন্সিল শেষে বীরেন সিংকে সভাপতি ও অজিত রায়কে সাধারণ সম্পাদক করে ১৯ সদস্যবিশিষ্ট বাংলাদেশ চা শ্রমিক ফেডারেশনের সিলেট জেলা শাখা গঠন করা হয়। এতে উপদেষ্টা হিসেবে রাখা হয়েছে বাংলাদেশ শ্রমিক কর্মচারী ফেডারেশন সিলেট জেলার আহ্বায়ক মোখলেসুর রহমান ও সদস্য প্রসেনজিৎ রুদ্রকে। আজ অনুষ্ঠানে কমিটির সদস্যদের পরিচয় করিয়েও দেওয়া হয়।