• জানুয়ারি ১৬, ২০২৩
  • লিড নিউস
  • 139
ভোটেই বাছাই হবে সিলেট নগর বিএনপি’র নেতৃত্ব

নিউজ ডেস্কঃ গেল অক্টোবরে ছিল টাইমফ্রেম। সিলেট মহানগর বিএনপি’র সম্মেলন শেষ করার কথা ছিল। কিন্তু বিভাগীয় সমাবেশের কারণে গতি কমে যায়। ওয়ার্ড কাউন্সিল শেষ করা সম্ভব হয়নি। পরে ১০ই ডিসেম্বর নিয়ে নানা উত্তাপ-উত্তেজনা। এ কারণে শেষ করা সম্ভব হয়নি সিলেট মহানগর বিএনপি’র সম্মেলন ও কাউন্সিল। বর্তমান আহ্বায়ক কমিটির বয়স প্রায় ১৬ মাস। এরই মধ্যে শেষ হয়ে আসছে মহানগরের ২৭টি ওয়ার্ডের কমিটি গঠনের প্রক্রিয়া। হাতে রয়েছে দুটি ওয়ার্ড। সেগুলোও চূড়ান্ত করা হয়েছে।

এ কারণেই সিলেট মহানগর বিএনপি’র সম্মেলন ও কাউন্সিল আয়োজনের প্রস্তুতি শুরু হয়েছে। বর্তমান কমিটির দায়িত্বশীলরা এখন দ্রুততম সময়ের মধ্যে সম্মেলন ও কাউন্সিল শেষ করতে চান। নেতারা জানিয়েছেন, আগামী বৃহস্পতিবার মহানগর বিএনপি’র আহ্বায়ক কমিটির নেতারা বৈঠকে বসছেন। আর ওই বৈঠকে সিদ্বান্ত নিয়ে কেন্দ্রের কাছে তারিখ চাওয়া হবে।
সিলেট মহানগর বিএনপি’র সদস্য সচিব মিফতাহ সিদ্দিকী জানিয়েছেন- ‘আমরা ফেব্রুয়ারির প্রথম দিকেই মহানগর বিএনপি’র সম্মেলন করতে চাই। তবে, সিদ্বান্ত নেয়া হবে সর্বসম্মতিক্রমে। কেন্দ্রের অনুমতি পেলে আমরা ফেব্রুয়ারিতেই সম্মেলন ও কাউন্সিল আয়োজন করতে প্রস্তুতি শুরু করবো।’

তিনি বলেন, ‘মহানগর বিএনপি’র ১৪ ও ২০নং ওয়ার্ডে কমিটি গঠন এখনো বাকি আছে। এ দুটি ওয়ার্ডও সম্মেলন, কাউন্সিলের জন্য প্রস্তুত রয়েছে। যেকোনো সময় করা যাবে। এজন্য আমরা মহানগর বিএনপি’র কাউন্সিলের আয়োজন করতে প্রস্তুতি চালাচ্ছি।’ সিলেটে বিএনপি’র কমিটি গঠন প্রক্রিয়ায় ফলো করা হয় ভিন্ন ফরম্যাট। এখানে গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে ভোটের মাধ্যমে কমিটি গঠন করা হয়। প্রায় ৬ বছর আগে থেকেই এ প্রক্রিয়া অনুসরণ করছে সিলেট বিএনপি। এতে আসছে সফলতাও। গ্রহণযোগ্য নেতাতারাই নেতৃত্ব বছাইয়ে সৌভাগ্যের দাবিদার হচ্ছেন।

গত বছরের মার্চে জেলা বিএনপি’র সম্মেলনের মাধ্যমে নতুন নেতৃত্ব বাছাই করা হয়। এরপর জেলা ও মহানগর যুবদলের নেতৃত্ব বাছাই করা হয় ভোটের মাধ্যমে। মহানগর বিএনপি’র নেতারা জানিয়েছেন, সিলেট মহানগর বিএনপি বর্তমানে আহ্বায়ক কমিটি দিয়েই চলছে। ২০২১ সালের ২৯শে সেপ্টেম্বর মহানগর বিএনপি’র পুরাতন কমিটি ভেঙে আহ্বায়ক কমিটির নেতাদের হাতে দায়িত্ব দেয়া হয়। মহানগর কমিটি নগরের ২৭টি ওয়ার্ডের পাড়া, মহল্লার কমিটি গঠনের পর ভোটের মাধ্যমে ওয়ার্ড কমিটি গঠন শুরু করে। কিন্তু পরপর দু’দফা বন্যা, সিলেটে বিএনপি’র কর্মসূচি পালনসহ নানা কারণে মহানগর বিএনপি সম্মেলন ও কাউন্সিলের দিকে যেতে পারেনি। তবে, এবার মহানগর বিএনপিতে তণমূলে যে কাজ হয়েছে সেটি অনুকরণীয়। নেতাদের মতে, পাড়া-মহল্লার কমিটি গঠনের পর ওয়ার্ড সম্মেলনে নেতাকর্মীদের আগ্রহ বেড়ে গিয়েছিল। এতে প্রায় সব ওয়ার্ডে গুরুত্বপূর্ণ পদে একাধিক প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। নগরের প্রায় সব ওয়ার্ডের কমিটি গঠন করায় মহানগর বিএনপি’র নতুন নেতৃত্ব বাছাই করা হবে কাউন্সিলের মাধ্যমে। ভোটে নির্বাচিতরাই আসবেন নেতৃত্বে। এ কারণে মহানগর বিএনপি’র সম্ভাব্য প্রার্থীরা ওয়ার্ড কাউন্সিলে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেন। যুক্তরাজ্যসহ বিভিন্ন দেশে বসবাসকারী নেতারাও এতে সম্পৃক্ত হয়েছেন।

নগর বিএনপি’র নেতারা জানিয়েছেন, মহানগর বিএনপিতে সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক ও সাংগঠনিক সম্পাদক পদে ভোটের মাধ্যমে নেতা নির্বাচন করা হবে। কেন্দ্রের অনুমতি পেলে সিনিয়র সহ-সভাপতি ও প্রথম যুগ্ম সম্পাদক পদে ভোট হতে পারে। জেলা বিএনপি’র সম্মেলনে শেষ মুহূর্তে ওই দুটি পদে ভোট গ্রহণ করা হয়নি। গুরুত্বপূর্ণ পদ সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক ও সাংগঠনিক সম্পাদক পদে প্রার্থী হতে বেশ কয়েকজন সিনিয়র নেতা মাঠে কাজ করছেন। দীর্ঘদিন প্রবাসে ও দেশে ঝিমিয়ে থাকা নেতারা সক্রিয় হওয়ার কারণে এবার মহানগর বিএনপিতে নেতৃত্ব বাছাইয়ে হাড্ডা হাড্ডি লড়াইয়ের আভাস পাওয়া যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন নগরের একাধিক শীর্ষ নেতা। এজন্য সিলেটের এই সম্মেলন ও কাউন্সিলকে দলীয়ভাবে গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন নেতারা।

এদিকে দলীয় নেতাদের মতে, আন্দোলনে সিলেট মহানগর বিএনপি’র বর্তমান নেতৃত্ব সরব রয়েছে। এখন মহানগর বিএনপি’র কর্মকাণ্ডে নগরের ওয়ার্ড ও মহল্লা পর্যায়ের নেতারা এসে সক্রিয় হচ্ছেন। এ কারণে মাঠের রাজনীতিতেও লোক সমাগম বেশি হচ্ছে। এই ধারা বজায় রাখতে হলে নির্বাচিত নেতৃত্ব সক্রিয় ভূমিকা রাখতে পারে। সূত্রঃ মানবজমিন