• ফেব্রুয়ারি ২৫, ২০২৩
  • শীর্ষ খবর
  • 185
তাহিরপুরে নৌজটের কবলে শ’ শ’ কয়লা ও চুনাপাথরবাহী নৌকা

তাহিরপুর প্রতিনিধিঃ সুনামগঞ্জের তাহিরপুরে পাটলাই নদীতে গত এক মাস ধরে নৌজটের কবলে পড়ে আটকে আছে শ’ শ’ কয়লা ও চুনাপাথরবাহী নৌকা। নাব্যতা সংকটের কারণে প্রতি বছর এই মৌসুমে নদীতে দেখা দেয় চরম নৌজট। উপজেলার বড়ছড়া, ছাড়াগাঁও এবং বাগলী শুল্কস্টেশনের কয়লা ডিপো থেকে নৌকা যোগে নির্ধারিত স্থানে কয়লা পাঠাতে না পেরে লোকসানের মুখে পড়ছেন ব্যবসায়ীরা। প্রায় দেড় যোগ ধরে শুষ্ক মৌসুমে পাটলাই নদীর সুলাইমানপুর নামক স্থানে নৌজটের সৃষ্টি হলেও নদী খননের উদ্যোগ নেই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের। এছাড়াও নৌজটের কবলে থাকা কয়লাবাহী নৌকাতে প্রতিনিয়িত হচ্ছে অহরহ চুরি।

জানা যায়, তাহিরপুর উপজেলার দক্ষিণ শ্রীপুর ইউনিয়নের সুলাইমানপুর নামক স্থানের পাটলাই নদীর দুই কিলোমিটার অংশ খুবই সরু ও অগভীর। সরু ও নদীতে পানি কম থাকায় প্রতিদিন দু-তিনটির বেশি কয়লা ও চুনাপাথরবাহী নৌকা সুলেমানপুর এলাকা পাড়ি দিতে পারছে না। বছরের পর বছর পলি পড়ে নদীর তলদেশে ভরাট হলেও কর্তৃপক্ষের কোন নজর নেই এখানে। গত একমাস ধরে নদীর সুলেমানপুর নামক স্থানে তৈরি হয়েছে বিশাল নৌজট। আর এ সুযোগে একটি চক্র কয়লাবাহি নৌকা থেকে চুরি করছে কয়লা।

শনিবার সরজমিন গিয়ে দেখা যায়, নদীতে শত শত কয়লাবাহী নৌকা এলোমেলোভাবে জট লেগে আছে। প্রতি বছরই নদীর সুলেমানপুর নামক স্থানে এরকম নৌজট সৃষ্টি হয়। প্রতিবছরই কর্মকর্তারা আশ্বাস দেন নদী খননের। তবে পাটলাই নদী খনন আর হচ্ছে না।

নৌকার মাঝি লাদেন বলেন, গত এক সপ্তাহ ধরে নৌজটের কবলে পড়ে নৌকা নিয়ে এখানে আটকে আছি। সহজে এখান থেকে বের হতে পারছি না। আর এ সুযোগে গভীর রাতে অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে নৌকার মাঝিদের জিম্মি করে কয়লা লুট করে নিয়ে যাচ্ছে চুরেরা। অন্যান্য নদী খনন হলেও পাটলাই নদী আর খনন হচ্ছেনা। ফলে মাঝিদের দুর্ভোগও কমছে না।

কয়লা আমদানিকারক গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক মোশাররফ হোসেন তালুকদার বলেন, উপজেলার তিনটি শুষ্ক স্টেশন দিয়ে কয়লা ও চুনাপাথর আমদানি হয়। সে কয়লা- চুনাপাথর নদী পথে দেশের বিভিন্ন স্থানে যায়। নৌজটের কারণে ব্যবসা পুরোপুরি স্থবির হয়ে পড়েছে। শুষ্ক মৌসুম আমাদের ব্যবসার করার সময়। নৌজটের কারণে আমাদের লোকসানের মুখে পড়তে হচ্ছে। প্রতি বছরই আমরা প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে কথা বলি নদী খননের ব্যাপারে। কিন্তু কোন কাজে আসছে না।

তাহিরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ ইফতেখার হোসেন বলেন, কয়লাবাহী নৌকাতে চুরি ঠেকাতে নদী এলাকায় নিয়মিত টহল দিচ্ছে পুলিশ।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মামুন হাওলাদার বলেন, পাটলাই নদী খননের সম্ভাব্যতা যাচাই চলছে। শেষ হলে খননের জন্য নতুন প্রকল্প নেয়া হবে। তখন পাটলাই নদী খনন হবে। খনন হলে নদীর নাব্যতা ফিরে আসবে।