• মার্চ ১৩, ২০২৩
  • জাতীয়
  • 124
বান্দরবানে সিলেটের ২ জঙ্গিসহ গ্রেপ্তার ৯ জন

নিউজ ডেস্ক: পাহাড়ে জঙ্গিবিরোধী চলমান অভিযানে জঙ্গি সংগঠন জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়া’র পার্বত্য অঞ্চলের প্রশিক্ষণ কমান্ডার দিদারসহ ৯ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব। র‌্যাব জানায়, গতকাল রোববার পার্বত্য জেলা বান্দরবানের টংকাবতী এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

সোমবার (১৩ মার্চ) সকালে বান্দরবান জেলা পরিষদ মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে র‌্যাব। সেখানে র‌্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, অভিযানে সংগঠন জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়ার ৯ সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

গ্রেপ্তাররা হলেন, কুমিল্লা সদরের আব্দুর রহিমের ছেলে মো. দিদার হোসেন ওরফে মাসুম ওরফে চাম্পাই, নারায়ণগঞ্জ সদরের মো. ইউনুস সর্দার এর ছেলে আল আমিন সর্দার ওরফে আব্দল্লাহ ওরফে বাহাই, ঢাকার কামরাঙ্গীর চরের মো. আবুল কালাম ওরফে সাইনুন ওরফে রায়হান ওরফে হুজাইফা, সিলেটের বিয়ানীবাজারের কামাল আহম্মেদ চোধুরীর ছেলে তাহিয়াত চৌধুরি ওরফে পাভেল ওরফে হাফিজুল্লাহ ওরফে রিতেং, শাহপরান এলাকার আব্দুল কাদিরের ছেলে মো. লোকমান মিয়া, কুমিল্লার লাকসামের মৃত আব্দুল আজিজের ছেলে মো. ইমরান হোসেন ওরফে সাইতোয়াল ওরফে শান্ত, ঝিনাইদহের কোর্ট চাঁদপুরের আনোয়ার হোসেনের ছেলে মো. আমির হোসেন, বরিশালের ফারুক হাওলাদারের ছেলে মো. আরিফুর রহমান ওরফে লাইলেং, ময়মংসিংহের ফুলপুরের মো. গিয়াস উদ্দিনের ছেলে শামিম মিয়া ওরফে রমজান ওরফে বাকলাই।

খন্দকার আল মঈন বলেন, গ্রেপ্তারদের কাছ থেকে গাদা বন্দুক, আগ্নেয়াস্ত্র , গোলাবারুদ, বিস্ফোরক তৈরির সরঞ্জাম ও ডেটোনেটর উদ্ধার করা হয়। তিনি আরও বলেন, বিভিন্ন সময় র‌্যাবের পরিচালিত অভিযানে ইতোমধ্যে নব্য জঙ্গি সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাসহ সর্বমোট ৫৯ জন এবং পাহাড়ের বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠনের কেএনএফের ১৭ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়।

আল মঈন বলেন, সংগঠনটির আমির নির্দেশ দিয়েছেন তাদের নিরাপদে থাকার জন্য। র‌্যাবের অব্যাহত অভিযানের কারণে তারা এখন পাহাড়ে নিজেদের নিরাপদ মনে করছে না। তাই তারা এখন সমতলের দিকে আত্মগোপনের চেষ্টা করছে। তবে তারা আত্মগোপনে নাকি সংগঠনের আমিরের নির্দেশে অনুযায়ী তাদের পরবর্তী কোনো কার্যক্রম রয়েছে কি না সেটা তাদের জিজ্ঞাসাবাদে জানতে পারব।

তিনি আরও জানায়, এখন পর্যন্ত ১৭ জন কেএনএফের সদস্যকে আইনের আওতায় নিয়ে আসা হয়েছে। যারা জঙ্গি সংগঠনের সদস্যদের সঙ্গে সরাসরি প্রশিক্ষণ দিচ্ছিলেন এবং তাদের সঙ্গে অবস্থান করছিলেন তাদের আমরা আইনের আওতায় নিয়ে আসছি। গতকালকের অভিযানে গ্রেপ্তার জঙ্গিদের পথপ্রদর্শক বা আশ্রয়দানকারী হিসেবে কেএনএফের সদস্য থাকার একটি আশঙ্কা রয়েছে। মনে হচ্ছে তারা আমাদের অভিযানের তথ্য পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়। তাদের কাছে যে অস্ত্র আছে তা আমরা উদ্ধার করছি। তবে আমাদের কাছে তথ্য আছে তাদের কাছে আরও ভারী অস্ত্র আছে।

আল মঈন বলেন, পার্বত্য অঞ্চলের প্রশিক্ষণ কমান্ডার দিদার ওরফে চাম্পাই ওই অঞ্চলে প্রশিক্ষণ দিতেন। গত বছরের ২০ অক্টোবরের অভিযানের পর সেখান থেকে দুটি গ্রুপে বিভক্ত হয়ে জঙ্গিরা বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে পড়ে বা আত্মগোপনে চলে যায়। দুটি গ্রুপের একটিতে নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন দিদার। তার নেতৃত্বে ৩২ জনের একটি দল আত্মগোপনে চলে যায়। তারা পাহাড়ের বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে পড়ে। এই চাম্পাই ২০১৮ সালে জঙ্গিবাদে উদ্বুদ্ধ হয়। সশস্ত্র প্রশিক্ষণের জন্য যারা গিয়েছিলেন তাদের প্রশিক্ষণ দিতেন চাম্পাই।