• মার্চ ১৪, ২০২৩
  • লিড নিউস
  • 135
আতিয়া মহলে জঙ্গিবিরোধী অভিযান মামলার রায় ৫ এপ্রিল

নিউজ ডেস্কঃ সিলেটের দক্ষিণ সুরমা উপজেলার শিববাড়ী এলাকায় আতিয়া মহলে জঙ্গিবিরোধী অভিযানের ঘটনায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনে করা মামলার যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষ হয়েছে। মামলাটির রায় ঘোষণার জন্য আগামী ৫ এপ্রিল দিন ধার্য করেছেন আদালত।

আজ মঙ্গলবার সিলেটের সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক মুহাম্মদ নূরুল আমীন বিপ্লব এ আদেশ দেন। আজ রাষ্ট্রপক্ষের সঙ্গে আসামিপক্ষের আইনজীবীরা যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করেন।

যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের সময় নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন জামাআতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশের (জেএমবি) অভিযুক্ত তিন সদস্য আদালতে উপস্থিত ছিলেন। তাঁরা হলেন বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার বাইশারি এলাকার জহুরুল হক ওরফে জসিম (২৯), তাঁর স্ত্রী মোছা. আর্জিনা ওরফে রাজিয়া সুলতানা (২১) এবং মো. হাসান (২৮)।

আদালতের বিশেষ সরকারি কৌঁসুলি মুমিনুর রহমান আদেশের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ২৭ ফেব্রুয়ারি শুনানির পর আজ যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছিল। যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে আদালত আজ রায়ের তারিখ নির্ধারণ করেছেন। ৫ এপ্রিল মামলাটির রায় ঘোষণা করা হবে। মামলাটিতে ৩৩ সাক্ষীর মধ্যে ২১ জন সাক্ষ্য দিয়েছেন। রাষ্ট্রপক্ষ থেকে অভিযুক্ত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে তাঁরা যথাযথভাবে সাক্ষ্যপ্রমাণ হাজির করতে সক্ষম হয়েছেন বলেও দাবি করেন তিনি।

২০১৭ সালের ২৩ মার্চ দিবাগত রাত থেকে আতিয়া মহলে জঙ্গিবিরোধী অভিযান শুরু হয়। অভিযানে র‌্যাব, পুলিশ, সিআরটির পর সেনাবাহিনীর কমান্ডো দল অংশ নেয়। সেনাবাহিনী পরিচালিত ‘অপারেশন টোয়াইলাইট’ শেষে ভবনের ভেতর থেকে এক নারীসহ চারজনের লাশ উদ্ধার করা হয়। অভিযান চলাকালে আতিয়া মহলের অদূরে বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এতে র‌্যাবের গোয়েন্দা বিভাগের তৎকালীন প্রধান লেফটেন্যান্ট কর্নেল আবুল কালাম আজাদ, দুই পুলিশ সদস্যসহ মোট সাতজন নিহত হন।

আতিয়া মহলে জঙ্গিবিরোধী অভিযান শেষে তিনটি মামলা করা হয়। মামলার প্রথম দিকে পুলিশ তদন্ত করলেও পরে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) তদন্তের দায়িত্ব পায়। ২০১৯ সালের ৭ সেপ্টেম্বর সন্ত্রাসবিরোধী আইনে করা মামলার অভিযোগপত্র আদালতে দাখিল করে পিবিআই। অভিযোগপত্রে তিনজনকে অভিযুক্ত করা হয়।

ওই বছরই চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে পৃথক জঙ্গিবিরোধী অভিযান চালিয়ে জহুরুল ও তাঁর স্ত্রী আর্জিনাকে এবং কুমিল্লার চান্দিনা থেকে মো. হাসানকে গ্রেপ্তার করা হয়। ২০১৯ সালের জানুয়ারিতে তাঁদের আতিয়া মহলের মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়। অন্যদিকে বোমা বিস্ফোরণ ও হত্যার ঘটনায় হওয়া দুটি মামলায় ২০১৯ সালের ১৪ জুলাই আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করে পিবিআই। প্রতিবেদনে মামলা নিষ্পত্তির আবেদন করা হয়।