• জুন ৩, ২০২৩
  • লিড নিউস
  • 98
বাংলা সাহিত্যকে বৃহত্তর সিলেট অঞ্চলের জ্ঞানী-গুণী, বহু সাধক সমৃদ্ধ করেছেন: সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী

নিউজ ডেস্ক: সিলেটের সাহিত্য ও সংস্কৃতিচর্চার গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাস স্মরণ করে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী কেএম খালিদ বলেন, ‘বাংলা সাহিত্যকে বৃহত্তর সিলেট অঞ্চলের জ্ঞানী-গুণী, বহু সাধক সমৃদ্ধ করেছেন। তাঁদের অবদানকে স্মরণ করা ও আগামী প্রজন্মের কাছে তাঁদের সৃষ্টিকর্ম পৌছে দেয়া আমাদের দায়িত্ব। বর্তমান সরকার প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা দেশরত্ন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলা সাহিত্য ও সংস্কৃতিচর্চায় গুরুত্বপূর্ণ কাজ করে যাচ্ছে। আমরা বাংলা সাহিত্যের কল্যাণে বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে লালন করে এগিয়ে যেতে চাই। তৃণমূল পর্যায়ে সাহিত্য চর্চার বিকাশে সরকারের উদ্যোগকে আমরা সম্মিলিত ভাবে এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই।

শনিবার (৩ জুন) সিলেট নগরীর রিকাবিবাজারস্থ কবি নজরুল অডিটোরিয়ামে বিভাগীয় সাহিত্য মেলার উদ্বোধনকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

তৃণমূল পর্যায়ের সাহিত্যিকদের সৃষ্টিকর্ম জাতীয় পর্যায়ে তুলে ধরার লক্ষ্যে সিলেট বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ের ব্যবস্থাপনায় ও বাংলা একাডেমির সমন্বয়ে এবং সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের পৃষ্ঠপোষকতায় সিলেটে দুই দিনব্যাপী এই মেলার শুরু হয়েছে।

সিলেটের বিভাগীয় কমিশনার ড. মুহাম্মদ মোশাররফ হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব খলিল আহমদ, বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক মুহম্মদ নূরুল হুদা।

স্বাগত বক্তব্য রাখেন সিলেটের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার দেবজিৎ সিংহ। অতিথি হিসেবে আরও বক্তব্য রাখেন সিলেট রেঞ্জের ডিআইজি শাহ মিজান শাফিউর রহমান, সিলেটের জেলা প্রশাসক মো. মজিবর রহমান, শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সাংস্কৃতিক সম্পাদক ও সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট সিলেটের সভাপতি শামসুল আলম সেলিম, সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সাংস্কৃতিক সম্পাদক ও সম্মিলিত নাট্য পরিষদ সিলেটের সভাপতি রজত কান্তি গুপ্ত।

বিভাগীয় সাহিত্য মেলার প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সিলেট ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি’র মানবিক অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. আবুল ফতেহ ফাত্তাহ, আলোচনা করেন বিশিষ্ট কবি ও গবেষক ড. মোস্তাক আহমাদ দীন ও বিশিষ্ট লোকসংস্কৃতি গবেষক ও প্রাবন্ধিক সুমনকুমার দাশ। এছাড়াও বিভাগের চার জেলার কবি, সাহিত্যিকসহ নানা শ্রেণি-পেশার মানুষজন উপস্থিত ছিলেন। বিকাল সাড়ে পাঁচটায় শুরু হয় চার জেলার সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য তুলে ধরে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। ৪ জুন রবিবার সকাল সাড়ে দশটায় শুরু হবে দ্বিতীয় দিনের অনুষ্ঠান।