• জুন ২৫, ২০২৩
  • লিড নিউস
  • 190
অস্ত্রের মহড়া দেওয়া তুহিনের রিমান্ডের আবেদন নামঞ্জুর

নিউজ ডেস্কঃ সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর বাসার সামনে অস্ত্র উঁচিয়ে মহড়া দেওয়া সেচ্চাসেবক লীগ নেতা আবুল কালাম আজাদ ওরফে তুহিনকে রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করেছিলো পুলিশ। তবে সে আবদেন নামঞ্জুর করেছেন আদালত।

রবিবার (২৫ জুন) সিলেট দ্রুত বিচার আদালতের বিচারক সুমন ভূঁইয়ার আদলতে তুলে পুলিশ আবেদন করলে বিচারক তা নামঞ্জুর করেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিমানবন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মঈন উদ্দীন শিপন। তিনি জানান, বিজ্ঞ আদালত তুহিনকে কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দিয়েছেন।

গত ১৬ জুন দিবাগত রাতে তুহিনকে গ্রেফতার করে র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‍্যাব)-৯। গ্রেফতারের পর এক সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও এখনও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী উদ্ধার করতে পারেনি সেই আগ্নেয়াস্ত্র।

জানা যায়, সিলেট মহানগরের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী (নবনির্বাচিত কাউন্সিলর) সায়ীদ মো. আবদুল্লাহ গত ৯ জুন সিলেট সিটি নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে একটি লিখিত অভিযোগ দেন। এতে তিনি উল্লেখ করেন, ৬ জুন সকালে ওয়ার্ডের নির্বাচনে কাউন্সিলর প্রার্থী, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি ও সদ্য সাবেক কাউন্সিলর আফতাব হোসেন খানের নেতৃত্বে ১০ থেকে ১২টি মোটরসাইকেলে ২০ থেকে ২৫ জন অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী তাঁর বাসার ফটকের সামনে আসেন। এ সময় সন্ত্রাসীরা বন্দুক তাক করে তাঁকে (আবদুল্লাহ) ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের হত্যার হুমকি দেন। পাশাপাশি ঘরবাড়ি আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেওয়ার হুমকিও দেন তারা।

রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে অভিযোগ দেওয়ার পরপরই সায়ীদের অভিযোগটি রিটার্নিং কর্মকর্তা পুলিশকে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য নির্দেশ দেন। পুলিশ সায়ীদ মো. আবদুল্লাহর অভিযোগটি মামলা হিসেবে গ্রহণ করে। এ ঘটনায় পরে আফতাবের প্রার্থিতা বাতিল করে নির্বাচন কমিশন। আর ২১ জুনের নির্বাচনে ৭ নম্বর ওয়ার্ডের সায়ীদ (লাটিম) বিজয়ী হন।

এদিকে, অস্ত্র মহড়ার দুদিন পর এর ভিডিও চিত্র ভাইরাল হলে ১০ জুন ভোরে সিলেট মহানগরের বনকলাপাড়া এলাকার আতিকুর রহমান (৪২), জুবের আহমদ (৩৮) ও হাজীপাড়া এলাকার নুরুজ্জামানকে (৩৪) গ্রেপ্তার করে বিমানবন্দর থানাপুলিশ। গ্রেপ্তার জুবের আহমদ ও নুরুজ্জামান মহড়ার সময় উপস্থিত ছিলেন।

পরে ১৬ জুন দিবাগত রাত ১২টার দিকে অস্ত্র হাতে থাকা মো. আবুল কালাম আজাদ ওরফে তুহিনকে মৌলভীবাজারের বড়লেখা উপজেলার শাহবাজপুর গ্রাম থেকে গ্রেপ্তার করেন র‍্যাব-৯-এর সদস্যরা। পরে তুহিনকে বিমানবন্দর থানাপুলিশের কাছে হস্তান্তর করে র‍্যাব। তবে তুহিনকে গ্রেফতারের পর এক সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও এখনও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী উদ্ধার করতে পারেনি সেই আগ্নেয়াস্ত্র।

সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার সুদীপ দাস এ বিষয়ে বলেন- অস্ত্র এখনও উদ্ধার হয়নি। তবে সেই অস্ত্র উদ্ধারে জোর তৎপরতা চালাচ্ছে পুলিশ।