• জুন ২৮, ২০২৩
  • আন্তর্জাতিক
  • 253
ঝড়ের মুখে হেলিকপ্টারের জরুরি অবতরণ, আহত মমতা

আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ জলপাইগুড়িতে জনসভা শেষে বাগডোগরা বিমানবন্দরে ফেরার সময়ে ঝড়-বৃষ্টির কবলে পড়েছিল পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বহনকারী হেলিকপ্টার।গতকাল মঙ্গলবার প্রাকৃতিক দুর্যোগে পড়ায় মুখ্যমন্ত্রীর হেলিকপ্টার জরুরি অবতরণ করানো হয় শিলিগুড়ির সেবক এয়ার বেসে।

হেলিকপ্টার বিভ্রাটের এ ঘটনায় আঘাত পেয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী। এরপরই বাগডোগরা থেকে কলকাতা বিমানবন্দরে নেমে সোজা এসএসকেএম হাসপাতালে চলে আসেন মমতা। বিকেল সাড়ে পাঁচটা নাগাদ উডবার্ন ওয়ার্ডে যান তিনি। রাত ৮টা নাগাদ হাসপাতালের কর্মকর্তা মণিময় বন্দ্যোপাধ্যায় সাংবাদিকেদের জানান, মুখ্যমন্ত্রীর এমআরআই করা হয়েছে। তাঁর বাম হাঁটুর লিগামেন্টে চোট রয়েছে। আঘাত লেগেছে হিপ জয়েন্টেও।

চিকিৎসকরা মুখ্যমন্ত্রীকে পরামর্শ দিয়েছিলেন হাসপাতালে ভর্তি হয়ে পর্যবেক্ষণে থাকতে। কিন্তু মমতা তাতে রাজি হননি। জানিয়েছেন, বাড়িতে থেকেই প্রয়োজনীয় চিকিৎসা করাতে চান তিনি। এরপরই আরও কিছু শারীরিক পরীক্ষা করে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে মুখ্যমন্ত্রীকে। কালীঘাটের নিজ বাসভবনেই বিশ্রামে আছেন তিনি।

মঙ্গলবার (২৭ জুন) কোচবিহার জেলা থেকেই পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রচার শুরু করেন মমতা। এ দিন জলপাইগুড়ি জেলার ক্রান্তিতে সভা শেষে হেলিকপ্টারে করে বাগডোগরা রওনা দেন মুখ্যমন্ত্রী। মাঝ আকাশে প্রবল ঝড়-বৃষ্টির কবলে পড়ে তাঁর হেলিকপ্টার। বৃষ্টির পরিমাণ এতটাই ছিল যে, আকাশপথের দৃশ্যমানতা অনেকটাই কমে যায়। এমন অবস্থায় হেলিকপ্টারের পাইলট দুর্যোগ পরিস্থিতিতে ঝুঁকি না নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর হেলিকপ্টার শিলিগুড়ির বিমানবাহিনীর এয়ার বেসে জরুরি অবতরণ করান। তখনই চোট পান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

যদিও মুখ্যমন্ত্রীর হেলিকপ্টার যখন সভাস্থল থেকে রওনা দিয়েছিল তখন আবহাওয়া ঠিক ছিল। কোনোরকম দুর্যোগের আভাস ছিল না। কিন্তু জলপাইগুড়ি জেলার ক্রান্তি এলাকাটি সিকিম ও ভুটানের পাহাড়ি এলাকার কাছাকাছি হওয়ায় আবহাওয়ায় হঠাৎ এমন তারতম্য হয়।

এর আগে ২০২১ সালে বিধানসভা নির্বাচনে মেদিনিপুরে এক রোড শো’তে পায়ে আঘাত পেয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তারপর থেকে পায়ে ব্যান্ডেজ এবং হুইল চেয়ারে বসেই দেড়মাস নির্বাচনী প্রচারণা চালিয়ে তৃতীয়বারের মতো পশ্চিবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীর চেয়ারে বসেন। কিন্তু, এবার সেই পরিস্থিতি হয়েছে কিনা তা সময় বলবে। তবে হাসপাতাল থেকে নিজ বাসভবনে যাওয়ার সময় হুইল চেয়ারে করেই নিজের গাড়িতে উঠেছেন তিনি। যদিও পঞ্চায়েত ভোট বিধানসভা ভোটের মতো অত বড় পরিসরের নয়।