• আগস্ট ১, ২০২০
  • জাতীয়
  • 389
বন্যা মোকাবিলায় দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার আহবান ফখরুলের

নিউজ ডেস্কঃ উদাসীনতা ও অবজ্ঞা পরিহার করে বন্যা মোকাবিলায় দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

শনিবার (১ আগস্ট) বেলা সাড়ে ১১টায় ঈদুল আজহার নামাজ শেষে স্থায়ী কমিটির সদস্যদের সঙ্গে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের কবর জিয়ারতের পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে সরকারের প্রতি তিনি এ আহবান জানান।

মির্জা ফখরুল বলেন, আমরা সমগ্র দেশের বন্যার্ত মানুষের পাশে দাঁড়ানোর জন্য আমাদের নেতা-কর্মীদের নির্দেশ দিয়েছি, অনুরোধ করেছি। একই সঙ্গে সরকারকে আহবান জানাচ্ছি, উদাসীনতা ও অবজ্ঞা পরিহার করে অবিলম্বে বন্যা দুর্গত মানুষদের সাহায্যার্থে শুধু ত্রাণ নয়, পুর্নবাসনের ব্যবস্থা করুক।

এবারকার বন্যা বেশ দীর্ঘস্থায়ী হবে বলে অনেকে আশঙ্কা করছেন। সেক্ষেত্রে তাদের (সরকার) লং টার্ম (দীর্ঘস্থায়ী) পরিকল্পনা গ্রহণ করা উচিত। যেটা তারা কখনই করেন না এবং অন্যের মতামতকে তারা প্রাধান্য দেন না।

বন্যা মোকাবিলায় সরকারের প্রস্তুতি পর্যাপ্ত কিনা জানতে চাইলে মির্জা ফখরুল বলেন, সরকারের ত্রাণ কার্য্ক্রম কখনোই পর্যাপ্ত নয়। এখন পর্যন্ত তা আমরা দেখিনি।

বিএনপির সীমিত সাধ্যের মধ্যে দুর্গতদের পাশে দাঁড়াতে দলের কেন্দ্রীয় ত্রাণ কমিটি কাজ শুরু করেছে বলে জানান তিনি।

খালেদা জিয়া বেশ অসুস্থ জানিয়ে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, আমাদের নেত্রী এখনো বেশ অসুস্থ আছেন। তার সমস্যাগুলো এখনো সমাধান করা সম্ভব হয়নি। কারণ প্রকৃতপক্ষে তিনি তো চিকিৎসার সুযোগই পাচ্ছেন না। আজকে দেশে যে অবস্থা হয়েছে হাসপাতালগুলোতে যাওয়া যায় না, ডাক্তার সাহেবরা আসতে পারছেন না এবং বিদেশে যেয়ে যে চিকিৎসা করবেন তারও কোনো সুযোগ নেই। সেই কারণে এখনো তিনি ঠিক উন্নত চিকিৎসার সুযোগটা পাননি। আমরা সেই সুযোগের অপেক্ষায় আছি। আমরা আশা করবো যে, তিনি সেই সুযোগ পাবেন।

তিনি বলেন, যখন দেশনেত্রী খালেদা জিয়া কারাগারের বাইরে ছিলেন তখন প্রত্যেক বছর আমরা তাকে নিয়েই শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের কবর জিয়ারত করতে আসতাম। দুর্ভাগ্য আজকে সম্পূর্ণ একটা মিথ্যা মামলায় দেশনেত্রী খালেদা জিয়াকে আটক করে রাখা হয়েছে এবং বিভিন্ন রকম শর্তারোপ করা হয়েছে।

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পক্ষ থেকে দেশবাসীকে ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়ে তিনি বলেন, ঈদুল আজহার মূল কথা ত্যাগের মহিমায় সবাইকে উজ্জীবিত হয়ে ত্যাগ স্বীকার করতে হবে। একদিকে এই ভয়ংকর ভাইরাসের সঙ্গে মোকাবিলা করা অন্যদিকে বন্যায় যে অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে তা থেকে জনগণকে রক্ষা করা এবং গণতন্ত্রর জন্য সংগ্রামকে অব্যাহত রাখবার জন্য আল্লাহতালার কাছে দোয়া চেয়েছি।

আমরা দোয়া চেয়েছি, আল্লাহতালা যেন সবাইকে সুস্থ রাখেন, দেশনেত্রীকে সুস্থ রাখেন এবং দেশনেত্রী সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে মুক্ত হয়ে আমাদের মাঝে আসবেন, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানও দেশে ফিরে আসবেন। গণতান্ত্রিক পরিবেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা হবে আজকের দিনে আমরা এই প্রত্যাশা করছি।

এসময় স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, নজরুল ইসলাম খান, সেলিমা রহমান ও ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু উপস্থিত ছিলেন।