• অক্টোবর ২, ২০২০
  • শীর্ষ খবর
  • 332
এমসি ছাত্রাবাসে গণধর্ষণের প্রতিবাদে প্রাক্তন শিক্ষার্থী ও পরিবারের মানববন্ধন

নিউজ ডেস্কঃ এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে বর্বরোচিত গণধর্ষণের প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে এমসি কলেজের প্রাক্তন শিক্ষার্থী ও তাদের পরিবার। ‘শিক্ষাঙ্গন হোক সব সময় সবার জন্য নিরাপদ’ এই স্লোগানে শুক্রবার বিকাল ৪টায় ছাত্রাবাসের মুল ফটকে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

মানববন্ধনে বক্তারা এই বর্বরোচিত ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান। এই ঘটনায় সম্পৃক্ত সকলের দৃষ্টান্তমুলক শাস্তি দাবি করেন। পাশাপাশি প্রতিটি শিক্ষাঙ্গন সকলের জন্য নিরাপদ ও বিশ্বস্তের-প্রশান্তির জায়গায় গড়ে উঠুক। যেখানে কোন রাহাজানি, ন্যাক্কারজনক ও বর্বরোচিত কোন ঘটনা ঘটবে না। সব মানুষের জন্য শিক্ষাঙ্গন হবে নিরাপদ।

তারা বলেন, এ ধরনের ঘটনা বাংলাদেশে নতুন নয় এবং কোন ঘটনারই উপযুক্ত বিচার না হওয়ায় ধর্ষনসহ নারী নির্যাতনের ঘটনা মহামারীর মত বৃদ্ধি পাচ্ছে। এধরনের ঘটনা দ্রুত বিচার সম্পন্ন করে দোষীদের শাস্তি নিশ্চিত করতে সরকার প্রতি আহ্বান জানান।

প্রাক্তন শিক্ষার্থী ও পরিবারের মানববন্ধনে সাবেক শিক্ষার্থীরা তাদের পরিবারের সদস্যদের নিয়ে উপস্থিত হন। এসময় উপস্থিত ছিলেন, মদন মোহন কলেজের অবসর প্রাপ্ত অধ্যক্ষ ড. আবুল ফতেহ ফাত্তাহ, এম.সি কলেজের ৪র্থ ব্লকের প্রাক্তণ ছাত্রাধিনায়ক নাজমুল হক, ইছরাব আলী হাই স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ শাহাব উদ্দিন আহমেদ, অ্যাডভোকেট প্রদীপ কুমার ভট্টাচার্য, অধ্যাপক প্রতিভা রাণী দাশ, অ্যাডভোকেট আজমল আলী, জিয়াউল গনি আরেফিন জিল্লুর, অধ্যাপক মো. আব্দুল জলিল, অধ্যাপক মহিতোষ তালুকদার, রাগীব-রাবেয়া ডিগ্রি কলেজের উপাধ্যক্ষ অর্ধেন্দু কুমার দাশ, অধ্যাপক আমিনূল ইসলাম, ব্লু-বার্ড স্কুল এন্ড কলেজের সহকারি অধ্যাপক মুজিবুর রহমান, মাধব রায়, প্রভাষক রোকসানা বেগম তুলি, সুশান্ত রঞ্জন রায়, মাধবী চক্রবর্তী, ছাতক সরকারি কলেজের প্রভাষক বজলুল আলিম বিদ্রোহী আবীর, বাংলাদেশ উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী সিলেট জেলা সংসদের সাধারণ সম্পাদক ইয়াকুব আলী, নারী নেত্রী ইন্দ্রানী সেন, মিশুক দেবনাথ, বেবি রায়, ফাহমিদা এলাহী বৃষ্টি, গণসঙ্গীত শিল্পী ও অভিনেতা রতন দেব, স্কলারস হোম স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যাপক সাইফা আক্তার শিপন, প্রধান শিক্ষক প্রদীপ কুমার দাশ প্রমুখ।

মানববন্ধন থেকে দাবি জানানো হয়, এই ধরণের মামলাগুলো দ্রুত আইনের আওতায় এনে দ্রুত সময়ের মধ্যে সমাধান ও অপরাধীদের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। তা না হলে সমাজের এরকম ঘটনা আরও বৃদ্ধি পাবে বলে আশঙ্ক ব্যক্ত করেন বক্তরা।