• এপ্রিল ১৯, ২০২১
  • মৌলভীবাজার
  • 454
কমলগঞ্জে ইউএনও এলে সব বন্ধ, চলে গেলে সব খোলা

মৌলভীবাজার প্রতিনিধিঃ সরকারঘোষিত সর্বাত্মক লকডাউনের প্রথম দিন মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে বেশ কড়াকড়ি ছিল। দ্বিতীয় দিন থেকে পাল্টে গেছে লকডাউনের চিত্র। লকডাউনে সরকারি নির্দেশনা মানা হচ্ছে কি না, দেখতে কমলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনায় বের হলে দোকানপাট সব বন্ধ হয়ে যায়, ইউএনও চলে গেলে আবার দোকানপাট খুলে ব্যবসা করেন দোকানিরা।

লকডাউনের ষষ্ঠ দিনে আজ সোমবার কমলগঞ্জ উপজেলার কমলগঞ্জ পৌরসভা এলাকার ভানুগাছ বাজার, শমশেরনগরসহ বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, মুখে মাস্ক পরার নির্দেশনা থাকলেও মানুষ এটিকে বাড়তি ঝামেলা মনে করেন। অপ্রয়োজনে বাইরে বের না হওয়ার নির্দেশনা থাকলেও স্বাভাবিক সময়ের মতোই লোকজন ঘোরাফেরা করছেন। রাস্তায় ইজিবাইক ও সিএনজিচালিত অটোরিকশা চলছে। এসব যানে স্বাস্থ্যবিধি না মেনেই নানা অজুহাতে চালকেরা যাত্রী নিয়ে চলাচল করছেন।

নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দোকান সকাল ৯টা থেকে বেলা ৩টা পর্যন্ত খোলা রাখার কথা থাকলেও রাত ১০টা থেকে ১১টা পর্যন্ত দোকানপাট খোলা থাকছে। অধিকাংশ লোকজন প্রশাসন ও পুলিশের গাড়ি দেখলে প্যাকেট থেকে মাস্ক বের করে মুখে পরে নেন। পুলিশ চলে গেলে মাস্কটি খুলে আবার প্যাকেটে ঢুকিয়ে রাখেন।

কমলগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইয়ারদৌস হাসান বলেন, লকডাউনে সরকারি বিধিনিষেধ কার্যকর করতে কমলগঞ্জ থানা-পুলিশ তৎপর আছে।

এ বিষয়ে কমলগঞ্জের ইউএনও আশেকুল হক বলেন, মানুষ ও ব্যবসায়ীরা যদি নিজেরা স্বাস্থ্যসচেতন না হন, তাহলে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে জরিমানা করে কোনো লাভ নেই। কারণ, ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার পর আবারও দোকানিরা দোকান খোলেন। মানুষ কেনাকাটা করেন।