• জুলাই ১৮, ২০২১
  • মৌলভীবাজার
  • 308
মৌলভীবাজারে ২৪ ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ১৮৮ জনের করোনা শনাক্ত

মৌলভীবাজার প্রতিনিধিঃ মৌলভীবাজার জেলায় গত ২৪ ঘণ্টায় একসঙ্গে সর্বোচ্চ ১৮৮ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। করোনা সংক্রমণের শুরু থেকে এ পর্যন্ত জেলায় একসঙ্গে এটাই সর্বোচ্চ রোগী শনাক্তের ঘটনা। এ নিয়ে জেলায় কোভিড-১৯ শনাক্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪ হাজার ৩০২।

আজ রোববার জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয় জানিয়েছে, সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় জেলার ৫২৩টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। নতুন নমুনার পাশাপাশি অন্তত তিন দিনের অবশিষ্ট নমুনাও রয়েছে। এর মধ্যে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের পিসিআর ল্যাবে পরীক্ষা হয়েছে ৪৮২টি এবং অ্যান্টিজেন পরীক্ষা হয়েছে ৩১টি। করোনা শনাক্ত হয়েছে ১৮৮ জনের। নমুনার তুলনায় শনাক্তের হার ৩৬ দশমিক ৬ শতাংশ।

গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন শনাক্ত রোগীদের মধ্যে মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে নমুনা প্রদানকারী ৭৯ জন, জুড়ীতে ২২ জন, শ্রীমঙ্গলে ১৩ জন, কমলগঞ্জে ৮ জন, বড়লেখায় ২২ জন, কুলাউড়ায় ৩১ ও রাজনগরে ১৩ জন আছেন।

গত ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৪ জন। সুস্থ হয়েছেন ৯ জন। জেলায় কোভিড-১৯ শনাক্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪ হাজার ৩০২। এর মধ্যে সুস্থ হয়েছেন ৩ হাজার ২০ জন। মারা গেছেন ৪৪ জন। গত বছর ৪ এপ্রিল প্রথম জেলার রাজনগরে করোনার উপসর্গ নিয়ে এক ব্যক্তি মারা যান। পরে তাঁর নমুনা পরীক্ষায় করোনা পজিটিভ ধরা পড়ে।

সিভিল সার্জন কার্যালয় জানিয়েছে, জেলার বিভিন্ন হাসপাতালে ২৫ জন করোনা রোগী ভর্তি আছেন। এর মধ্যে মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ১৩ জন, কুলাউড়ায় ৯ জন এবং শ্রীমঙ্গল, জুড়ী ও রাজনগরে ১ জন করে। জেলায় কোভিড রোগীর জন্য ১৫০টি শয্যা রয়েছে। এগুলোতে অক্সিজেন সুবিধা আছে। এদিকে করোনা রোগীর চিকিৎসায় অক্সিজেনের জোগান নিশ্চিত করতে সেন্ট্রাল মেডিকেল স্টোর থেকে প্রতিটি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সকে নতুন করে ১০টি করে অক্সিজেন সিলিন্ডার বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।

মৌলভীবাজার জেনারেল হাসপাতালে ছয়টি নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র (আইসিইউ) এবং হাই ফ্লো নাজাল ক্যানুলা আছে পাঁচটি। আইসিইউতে নিয়মিতই রোগী আছেন। জেনারেল হাসপাতালে ৩৮৫টি অক্সিজেন সিলিন্ডার মজুত আছে। সারা জেলায় অক্সিজেন সিলিন্ডার আছে ৬৪০টি।

জেলা সিভিল সার্জন চিকিৎসক চৌধুরী জালাল উদ্দিন মুর্শেদ আজ রোববার বলেন, গরুর হাটসহ হাটবাজারে মানুষের ভিড় বাড়ছে। মানুষ স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালন করছেন না। মাস্ক পরছেন না। এতে রোগীও বাড়ছে। এটা খুবই আশঙ্কাজনক বিষয়। ঈদের পরে পরিস্থিতি কী দাঁড়ায়, বলা মুশকিল।