• নভেম্বর ২৮, ২০২১
  • হবিগঞ্জ
  • 51
হবিগঞ্জে ঘাটিয়া বাজার এলাকায় ব্যবসায়ীর উপর হামলা, আওয়ামী লীগ নেতার বিরুদ্ধে মামলা

হবিগঞ্জ প্রতিনিধিঃ হবিগঞ্জ শহরে ঘাটিয়া বাজার এলাকায় পূর্ব বিরোধের জেরে ব্যবসায়ীর উপর হামলা করেছে একদল দুর্বৃত্ত। বৃহস্পতিবার (২৮ অক্টোবর) সকাল ১০টায় শহরের ঘাটিয়া বাজারস্থ গোপ ক্লথ স্টোরে এই হামলার ঘটনা ঘটে। এই হামলায় গোপ ক্লথ স্টোরে মালিক রথীন্দ্র গোপের ছেলে ও গোপ ক্লথ স্টোরে পরিচালক ব্যবসায়ী প্রসেনজিত গোপ গুরুত্বর আহত হয়েছেন। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতাল থেকে তাকে সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়। এই হামলায় প্রসেনজিত গোপের সাথে দোকানের কয়েকজন কর্মচারীও আহত হয়েছেন।

এদিকে গত শনিবার (৩০ অক্টোবর) এই হামলার ঘটনায় হবিগঞ্জ সদর মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন গোপ ক্লথ স্টোরে মালিক ও আহত প্রসেনজিত গোপের বাবা রথীন্দ্র গোপ। প্রাণে হত্যার উদ্দেশ্যে হামলা, দোকান দখল ও চাঁদাবাজির অভিযোগে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা শাহ আলম ছিদ্দিকি সহ ১৪ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা করা হয়।

মামলার এজাহারে বলা হয়, মামলার বাদী রথীন্দ্র গোপ হবিগঞ্জ পৌরসভার ভিতরে ঘাটিয়া বাজারে কিছু জমি ক্রয় করেন। সেই জায়গার কিছু অংশ জোরে বলে আত্মসাৎ করেন আওয়ামী লীগ নেতা শাহ আলম ছিদ্দিকি। তখন রবীন্দ্র গোপ তার দখলে থাকা জায়গায় দোকান ঘর নির্মাণ করিয়া গোপ ক্লথ স্টোর নামে দোকান খুলে তার ছেলে প্রসেনজিত গোপকে দিয়া ব্যবসা পরিচালনা করান। এরপর শাহ আলম ছিদ্দিকি প্রায়ই দোকানে গিয়ে চাঁদা দাবী করতেন। গোপ ক্লথ স্টোরে পাশেই ছিল আসামী শাহ আলম ছিদ্দিকির কাপড়ের দোকান। গোপ ক্লথ স্টোর দেওয়ার পর তার ব্যবসায় মান্দা হয়ে যায়। এসব ঘটনার জেরে আসামীগন তাদেরকে উক্ত জায়গা থেকে উচ্ছেদ করতে এই হামলা চালায়।

মামলার বাদী গোপ ক্লথ স্টোরে মালিক ও আহত প্রসেনজিত গোপের বাবা রথীন্দ্র গোপ বলেন, আমি অত্যন্ত অসহায়, নিরীহ মানুষ। আমরা সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের লোক হওয়ায় এলাকার প্রভাবশালী আওয়ামী লীগের নেতা শাহ আলম ছিদ্দিকি দীর্ঘদিন যাবত আমাদের উপর অত্যাচার করছেন। আমার কিছু জায়গা জোরে আত্মসাৎ করে সে। আমি এ ব্যাপারে প্রশাসনের নিকট সাহায্য সহযোগীতা চাইলেও কোন উপকার পাই নাই। উল্টো আমাকে হেনস্তা করা হয়েছে। আমার ছেলেকে প্রাণে হত্যা করতে ও আমাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান উচ্ছেদ করতে করতেই এই হামলা করেছে তারা। আমরা ছেলেকে মৃত্যুরমুখে সিলেট ওসমানী হাসপাতালে রেখে এসে মামলা করেছি। কারণ এই হামলার পরও তারা আমাদের বিভিন্নভাবে হুমকি দিচ্ছে।

এ ব্যাপারে এই মামলার তদন্ত কর্মকর্তা হবিগঞ্জ সদর মডেল থানার এসআই মো. সিরাজুল ইসলাম বলেন, মামলাটি রুজ করে ওসি স্যার আমাকে তদন্তের দায়িত্ব দিয়েছেন। ইতোমধ্যে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে মামলার বিভিন্ন আলমত সংগ্রহ করা হয়েছে। এই ঘটনায় আহত প্রসেনজিত গোপ এখন সিলেটে চিকিৎসাধীন আছেন। তাই তার কাছ থেকে বিস্তারিত জানা যায়নি। প্রসেনজিত গোপের পরিস্থিতি কথা বলার উপযুক্ত হলে আমরা তার সাথে কথা বলবো। অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার পুলিশের অভিযান অব্যাহত আছে।