• ডিসেম্বর ১২, ২০২১
  • মৌলভীবাজার
  • 342
মৌলভীবাজারে দুপুর হলে জ্বলে না গ্যাসের চুলা

মৌলভীবাজার প্রতিনিধিঃ মৌলভীবাজার শহর ও শহরতলির বেশির ভাগ এলাকায় দুপুর হলে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়। বেলা ১১টা থেকে গ্যাসের চাপ কমতে থাকে। ১২টার পর থেকে অনেক এলাকায় আর চুলা জ্বলে না। আবার বেলা তিনটা থেকে অল্প অল্প করে চুলা জ্বলে। গ্রাহকেরা বলেন, দুপুরেই গ্যাসের প্রয়োজন বেশি। তখন গ্যাস না থাকায় তাঁদের ভোগান্তি বেশি পোহাতে হচ্ছে।

শহর ও শহরতলির গ্রাহকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, দক্ষিণ কলিমাবাদ, সৈয়ারপুর, বর্ষিজুড়া, চাঁদনীঘাট, গীর্জাপাড়াসহ বিভিন্ন এলাকায় গ্যাসের সমস্যা বাড়ছে। মাসখানেক ধরে বিভিন্ন এলাকায় দুপুর হলে চুলায় গ্যাস থাকছে না। দক্ষিণ কলিমাবাদের গ্রাহক নাজমা বেগম গত শুক্রবার বলেন, ‘বেলা দুইটা-আড়াইটা পর্যন্ত গ্যাস থাকে না। এ সময় রান্নাবান্না করা সম্ভব হচ্ছে না। এ ছাড়া গ্যাসের চুলায় রান্না করলেও হাঁড়িতে কালি জমে যায়। প্রায় এক মাস ধরে এই সমস্যা বেশি হচ্ছে।’

জালালাবাদ গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন সিস্টেম লিমিটেড মৌলভীবাজার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, মৌলভীবাজার শহর ও শহরতলিতে গ্রাহক আছেন প্রায় আট হাজার। মৌলভীবাজারে হবিগঞ্জের শাহজীবাজার থেকে শ্রীমঙ্গল হয়ে স্থাপিত সঞ্চালন লাইনের মাধ্যমে গ্যাস সরবরাহ করা হয়। শীতকালে সঞ্চালন লাইনে গ্যাসের ঘনত্ব বেড়ে যায়। গ্যাস সঞ্চালনে গতি কমে আসে। এতে লাইনের শেষ প্রান্তে থাকা মৌলভীবাজারে গ্যাসের চাপ কমে আসে। দুপুরবেলা হচ্ছে গ্যাস ব্যবহারের সর্বোচ্চ সময়। এ সময় কলকারখানা, বাসাবাড়িসহ সবখানে গ্যাসের ব্যবহার বেড়ে যায়। ফলে গ্যাস সরবরাহ ব্যাহত হচ্ছে। অন্যদিকে গ্রাহকসংখ্যাও বেড়েছে।

সূত্রটি আরও জানায়, এ সমস্যা সমাধানে তিনটি লাইন স্থাপনের কাজ চলছে। এর একটি বাস্তবায়ন হলে মৌলভীবাজার শহর ও শহরতলিতে গ্যাসের চাপজনিত এই সমস্যা থাকবে না।

মৌলভীবাজার পৌরসভার মেয়র মো. ফজলুর রহমান গতকাল শনিবার বলেন, শহরের বেশির ভাগ এলাকাতেই গ্যাসের সমস্যা। নতুন লাইনের কাজ হলে সমস্যা আর থাকবে না।

জালালাবাদ লিমিটেড জেলা উপমহাব্যবস্থাপক এ এফ এম আজাদ কামাল বলেন, ‘লাইনে কিছুটা সমস্যা আছে। গ্যাসের চাপ কমে যায়। এই সমস্যা সমাধানে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।’