• সেপ্টেম্বর ১৫, ২০২২
  • জাতীয়
  • 228
বিএনপির নেতৃত্বে আন্দোলনে নামতে চায় জামায়াত ইসলাম-এলডিপি-নাগরিক ঐক্য

নিউজ ডেস্কঃ আওয়ামী লীগ সরকারকে হটাতে বিএনপির নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের চেষ্টা চলছে। এ লক্ষ্যে আলোচনা শেষ পর্যায়ে। যেকোনো দিন বিএনপি আন্দোলনের রূপরেখা দেবে। এ আন্দোলনে মাঠে নামবে লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এলডিপি), নাগরিক ঐক্য ও জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশ। আজ বৃহস্পতিবার সকালে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে এক আলোচনা সভায় এ তিন দলের নেতারা এমন কথা বলেছেন।

‘দেশের সার্বিক পরিস্থিতি’ শীর্ষক এ আলোচনা সভার আয়োজন করে এলডিপি। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন এলডিপির সভাপতি কর্নেল (অব.) অলি আহমদ।

অলি আহমদ বলেন, বিএনপির নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের একটা চেষ্টা চলছে। এ-সংক্রান্ত আলোচনা শেষ পর্যায়ে রয়েছে। কীভাবে আন্দোলন হবে, তার রূপরেখা যেকোনো দিন জাতির সামনে বিএনপি দেবে। সেই রূপরেখার সঙ্গে তাঁরা একমত।

অলি আহমদ আরও বলেন, গতকাল বুধবার সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের কোনো প্রশ্নের সরাসরি উত্তর দেননি প্রধানমন্ত্রী। তিনি যে আশা নিয়ে ভারত গিয়েছিলেন, তা প্রতিফলিত হয়নি। ২০১৪ ও ২০১৮ সালের নির্বাচনের আগেও তিনি ভারতে গিয়েছিলেন। অনেককে হায়ার (ভাড়া) করেছিলেন। তারা নিশ্চয়তা দিয়েছিল, আওয়ামী লীগকে পুনরায় ক্ষমতায় ফিরিয়ে নিয়ে আসবে। কিন্তু এখন সে অবস্থা নেই। এখন ভূরাজনৈতিক অবস্থার পরিবর্তন হয়েছে।

নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, ইতিমধ্যে দেশের বিরোধী দলগুলোর মধ্যে একটি ঐক্য হয়েছে। ঐক্যটি হলো এ সরকারের অধীন তারা নির্বাচনে যাবে না।

মান্না বলেন, ‘আমরা যারা যারা ঐক্য গড়ে তুলব, তারা প্রথম দফায় একবার কথা বলেছি। দ্বিতীয় দফায় কথা বলব বলতে বলতে তিন মাস হয়ে গেছে। এখন পর্যন্ত হতাশ হইনি। ঐক্য হবে আশা করি। ঐক্য হওয়ার পর ঐক্যবদ্ধভাবে রাস্তায় নামব, এই আশায় বসে আছি।’

মান্না বলেন, বর্তমান সরকারকে ক্ষমতায় রাখার জন্য পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে প্রথমে ভারতে পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু তিনি ব্যর্থ হয়েছেন। এরপর তিনি (প্রধানমন্ত্রী) গেছেন। গিয়ে বলেছেন। কিন্তু এবার ভারত তাঁকে বলেনি যে ঠিক আছে। নিশ্চিতে থাকেন। এবার আওয়ামী লীগ সরকার বুঝতে পারছে, পৃথিবীতে তার কোনো বন্ধু নেই।

জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল আবদুল হালিম বলেন, ‘অতীতে কোন দলের কী ভূমিকা ছিল, এটা পর্যালোচনা করি না। বর্তমান দুঃশাসনের কবল থেকে দেশকে মুক্ত করার জন্য সকলে ঐক্যবদ্ধভাবে সংগ্রামে নেমে পড়ব, এটাই আমাদের অঙ্গীকার। দলগুলোর মধ্যে পারস্পরিক ঐক্য আরও সুদৃঢ় করতে হবে। যোগাযোগ আরও বাড়াতে হবে। সম্মিলিত সংগ্রামের মধ্য দিয়ে এই সরকারের পতন ঘটাব।’

অনুষ্ঠানের সঞ্চালনা করেন এলডিপির মহাসচিব রেদোয়ান আহমেদ।