• অক্টোবর ১৪, ২০২১
  • শীর্ষ খবর
  • 246
জকিগঞ্জে পরিস্থিতি শান্ত, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর টহল জোরদার

নিউজ ডেস্কঃ কুমিল্লার ঘটনার জের ধরে সিলেটের জকিগঞ্জ উপজেলায় মিছিল থেকে পুলিশ ও প্রশাসনের গাড়ি ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছিল। তবে এরপর স্থানীয় প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর তৎপরতায় পরিস্থিতি এখন শান্ত।

উপজেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, গতকাল বুধবার রাতে উপজেলার কালীগঞ্জ বাজার এলাকায় চারটি ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। আজ বৃহস্পতিবার বেলা দুইটায় এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত বাজারের পরিস্থিতি পুরোপুরি স্বাভাবিক ছিল।

পুলিশ ও স্থানীয় কয়েকজন জানান, কুমিল্লার ঘটনার জের ধরে কালীগঞ্জ বাজারে গতকাল এশার নামাজের পর কয়েকটি মসজিদ থেকে মুসল্লিদের খণ্ড খণ্ড মিছিল করা হয়। এরপর তাঁরা সেখানে বিক্ষোভ করেন। খবর পেয়ে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সুমী আক্তার, জকিগঞ্জ সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (এসএসপি) জাকির হোসেন, উপজেলা চেয়ারম্যান লোকমান উদ্দিন চৌধুরী ও জকিগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কাসেম সেখানে যান। পরে তাঁরা কালীগঞ্জ বাজারের অদূরে মানিকপুর ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ের ভেতরে অবস্থান নেন।

পুলিশ সূত্র জানিয়েছে, স্থানীয় প্রশাসন ও পুলিশের কর্মকর্তারা ইউপি পরিষদ কার্যালয়ের ভেতরে অবস্থান করছিলেন। এ সময় হঠাৎ ইউপি কার্যালয়ের সামনে থাকা ইউএনও, এএসপি, উপজেলা চেয়ারম্যান এবং ওসির চারটি গাড়িতে অতর্কিতে ঢিল ছোড়ে ভাঙচুর চালানো হয়। একপর্যায়ে এএসপির গাড়িতে অগ্নিসংযোগ করে কিছু ব্যক্তি। এ সময় পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ফাঁকা গুলি ছোড়ে। বিক্ষোভকারীদের নিবৃত্ত করতে গিয়ে পুলিশ ও স্থানীয় কয়েকজন আহত হয়েছেন।

ঘটনার পরপরই কালীগঞ্জ বাজারে র‌্যাব ও পুলিশ সদস্যদের টহল জোরদার করা হয়েছে। রাত সাড়ে ১২টায় ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যান সিলেটের জেলা প্রশাসক এম কাজী এমদাদুল ইসলাম ও পুলিশ সুপার ফরিদ উদ্দিন। তাঁরা এ সময় হামলা ও ভাঙচুরে জড়িত ব্যক্তিদের দ্রুত গ্রেপ্তারের নির্দেশ দেন।

এ বিষয়ে ইউএনও সুমী আক্তার আজ দুপুর সাড়ে ১২টায় বলেন, কালীগঞ্জ বাজারসহ উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ স্থানে পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের মোতায়েন করা হয়েছে। টহলও বাড়ানো হয়েছে। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করতে কিছু ব্যক্তি এ ঘটনা ঘটিয়েছে। তবে এখন পরিস্থিতি শান্ত। রাতে জকিগঞ্জ থানা–পুলিশ অভিযান চালিয়ে দুজনকে আটক করেছে। এ ঘটনায় মামলার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন।

এর আগে গতকাল কুমিল্লায় পবিত্র কোরআন অবমাননাসংক্রান্ত খবরটি খতিয়ে দেখার কথা জানায় সরকার। গতকাল এক তথ্য বিবরণীতে সরকারের পক্ষ থেকে এ কথা জানানো হয়।