• নভেম্বর ২২, ২০২১
  • শীর্ষ খবর
  • 237
সিলেটে পাঁচ দফা দাবিতে পরিবহন শ্রমিকদের কর্মবিরতি, যাত্রীদের ভোগান্তি

নিউজ ডেস্কঃ সিলেট বিভাগে পাঁচ দফা দাবিতে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের ডাকে আজ সোমবার সকাল ছয়টা থেকে অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতি শুরু হয়েছে। এতে সিলেট থেকে কোনো দূরপাল্লার যানবাহন ছেড়ে যায়নি।পরিবহনশ্রমিকদের কর্মবিরতির কারণে শহরের ভেতরেও সিএনজিচালিত অটোরিকশা থেকে শুরু করে বাস, মিনিবাস, ট্রাক, লরি ও মাইক্রোবাস চলাচল বন্ধ আছে। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন যাত্রীরা। বিশেষ করে সিএনজিচালিত অটোরিকশা বন্ধ থাকায় এসএসসি পরীক্ষার্থীরা বিপাকে পড়েছে।

গতকাল রোববার বিকেল চারটায় সিলেটের দক্ষিণ সুরমা এলাকার জেলা বাস মিনিবাস কোচ মাইক্রোবাস শ্রমিক ইউনিয়নের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সভায় পাঁচ দফা দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত কর্মবিরতির ঘোষণা দেন নেতারা।

জেলা বাস মিনিবাস কোচ মাইক্রোবাস শ্রমিক ইউনিয়ন নেতাদের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলা প্রত্যাহার, ট্রাফিক পুলিশ ও হাইওয়ে পুলিশের হয়রানি বন্ধ করাসহ পাঁচ দফা দাবি বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের।

আজ সকালে সিলেটের দক্ষিণ সুরমার চণ্ডীপুল, হুমায়ুন রশীদ চত্বর, টিলাগড়, লামাবাজার ও শেখঘাট এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, পরিবহনশ্রমিকেরা সড়কে অবস্থান নিয়ে কোনো যানবাহন চলাচল করলে সেগুলো আটকাচ্ছেন। দাবি আদায়ে তাঁদের বিভিন্ন স্লোগান দিতে দেখা গেছে। তবে পরিবহনশ্রমিকদের কর্মবিরতিতে চলাচল করতে দেখা গেছে কিছু ব্যক্তিগত গাড়ি, মোটরসাইকেল ও রিকশা।

সকাল সোয়া নয়টার দিকে নগরের শেখঘাট এলাকা থেকে আম্বরখানায় পরীক্ষাকেন্দ্রে যাওয়ার জন্য বের হয়েছিল এসএসসি পরীক্ষার্থী রাকিব আহমদ। সে বলে, সড়কে কোনো সিএনজিচালিত অটোরিকশা নেই। রিকশায় গেলে পরীক্ষায় দেরি হওয়ার ঝুঁকি আছে। পরে ৯টা ২০ মিনিটের দিকে এক মোটরসাইকেল আরোহী তাকে আম্বরখানার কেন্দ্রে পৌঁছানোর জন্য পেছনে তুলে নেন।

দক্ষিণ সুরমার কদমতলী কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালে গিয়ে দেখা গেছে, টার্মিনালে যাত্রীবাহী বাসগুলো দাঁড়িয়ে আছে। যাত্রী পরিবহনের জন্য কোনো তাড়াহুড়ো নেই। হবিগঞ্জে যাওয়ার জন্য যানবাহনের জন্য অপেক্ষা করছিলেন সালেহ বিন আমির। তিনি বলেন, ‘হঠাৎই জরুরি কাজ পড়ে গেছে। হবিগঞ্জ যাওয়ার জন্য বের হয়েছি। তবে ধর্মঘট চলায় কোনো যানবাহন পাচ্ছি না। বিকল্প কোনো পরিবহনও পাচ্ছি না। এখন মোটরসাইকেলে করে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। যাত্রীরা পরিবহনের চালক ও শ্রমিকদের কাছে জিম্মি হয়ে পড়েছে। তারা এখন সরকার ও প্রশাসনের ওপর চোখ রাঙাচ্ছে। কিছু হলেই ধর্মঘট ও কর্মবিরতির নামে আমাদের ভোগান্তিতে ফেলছে।’

বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশন সিলেট বিভাগীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক সজীব আলী বলেন, ‘শ্রমিকেরা তাঁদের দাবি আদায়ে কর্মবিরতি পালন করছেন। আমরা কোনো সহিংসতা করছি না। শ্রমিকেরা দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত কর্মবিরতি পালন করবেন বলে আমাদের জানিয়েছেন।’

সিলেট রেলস্টেশনের কম্পিউটার অপারেটর জহির আলম জানান, সিলেট থেকে নির্দিষ্ট সময়ে বিভিন্ন গন্তব্যে ট্রেন ছেড়ে যাচ্ছে। সকাল সোয়া ছয়টার দিকে সিলেট থেকে ঢাকার উদ্দেশে কালনী এক্সপ্রেস সিলেট ছেড়ে গেছে। ঢাকার উদ্দেশে জয়ন্তিকা এক্সপ্রেস ও চট্টগ্রামের উদ্দেশে পাহাড়িকা এক্সপ্রেস ছেড়ে যাবে। এর আগে ঢাকা থেকে ভোররাত সাড়ে চারটায় উপবন, সকাল সাতটার দিকে উদয়ন এক্সপ্রেস সিলেট স্টেশনে এসেছে। আসন ছাড়া কোনো টিকিট বিক্রি করা হচ্ছে না।