• জানুয়ারি ৯, ২০২২
  • শীর্ষ খবর
  • 340
ধর্মপাশায় চার দিন পর ভোট কেন্দ্র থেকে ব্যালট পেপার উদ্ধার

সুনামগঞ্জ প্রতিনিধিঃ ভোট গ্রহণের চার দিন পর সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা উপজেলার সুখাইড় রাজাপুর দক্ষিণ ইউনিয়নের একটি কেন্দ্র থেকে তিনটি খামে সিলমোহর করা ব্যালট পেপার উদ্ধার করা হয়েছে।

আজ রোববার সকালে ইউনিয়নের ঘুলুয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের একটি কক্ষ থেকে এগুলো উদ্ধার করা হয়। দুপুরে এসব ব্যালট পেপার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) উপস্থিতিতে ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সাইফুর রহমান সংশ্লিষ্ট প্রিসাইডিং কর্মকর্তার কাছে হস্তান্তর করেন।

এ সম্পর্কে ধর্মপাশার ইউএনও মুনতাসির হাসান মুঠোফোনে বলেন, বেলা পৌনে দুইটার দিকে তিনটি খামের ভেতরে থাকা চেয়ারম্যান পদের সিলমারা ব্যালট পেপারগুলো উদ্ধার করা হয়েছে। এ ব্যাপারে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ঘুলুয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সাইফুর রহমান বলেন, ‘আমি বৃহস্পতিবার স্কুলে আসিনি। শনিবার এলেও খামগুলো খেয়াল করিনি। আজ রোববার সকাল সাড়ে নয়টার দিকে বিদ্যালয়ের বিভিন্ন কক্ষ পরিষ্কার করতে গিয়ে খামের ভেতরে ব্যালটে সিল মারা পেপারগুলো নজরে আসে। ঘটনাটি সঙ্গে সঙ্গে মুঠোফোনে ইউএনও স্যারকে জানাই।’

পঞ্চম ধাপে গত বুধবার ধর্মপাশার সুখাইড় রাজাপুর দক্ষিণসহ ১০টি ইউপিতে ভোট গ্রহণ করা হয়। ওই ইউপিতে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী চশমা প্রতীকের মোকাররম হোসেন ৫৩ ভোটের ব্যবধানে জয়ী হন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন আওয়ামী লীগের সেলিম রাজা চৌধুরী। তিনি নৌকা প্রতীকে ভোট পেয়েছিলেন ২ হাজার ২০৮টি।

ঘুলুয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোটার ছিল ৯৮২ জন। তাঁদের মধ্যে উপস্থিত ভোটারের সংখ্যা ৮২৭। চেয়ারম্যান পদে চশমা প্রতীকে ৪৮৬, নৌকা ২৬৪ ও ঘোড়া প্রতীকে ৫৯টি ভোট পড়ে। এই কেন্দ্রে প্রিসাইডিং কর্মকর্তার দায়িত্বে ছিলেন উপজেলার বাদশাগঞ্জ ডিগ্রি কলেজের শিক্ষক তপন কান্তি তালুকদার। তিনি বলেন, ‘সহকারী প্রিসাইডিং ও পোলিং কর্মকর্তাদের নিয়ে ব্যালটের প্যাকেট করেছি। ভুলে ওই তিন প্যাকেট সেখানে থেকে যেতে পারে।’

সুখাইড় রাজাপুর দক্ষিণ ইউনিয়নের রিটার্নিং কর্মকর্তার দায়িত্বে থাকা ভারপ্রাপ্ত উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা আল মাহমুদ হাছান বলেন, ‘ইউএনও স্যারের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে কথা হয়েছে। ঘটনাটি গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হচ্ছে। ভোট কেন্দ্রে ব্যালট পেপার রেখে চলে এলে বিধি অনুযায়ী যাবতীয় দায় সংশ্লিষ্ট প্রিসাইডিং কর্মকর্তাকে নিতে হবে।’