• এপ্রিল ১১, ২০২২
  • জাতীয়
  • 222
ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে আট কারণে বাড়তে পারে যাত্রীদের দুর্ভোগ

নিউজ ডেস্কঃ ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের মূল অংশ দখল করে বিভিন্ন স্থানে গড়ে উঠেছে লেগুনা, সিএনজিচালিত অটোরিকশাস্ট্যান্ড। এটিসহ এ মহাসড়কে যানজট সৃষ্টির আটটি সম্ভাব্য কারণ চিহ্নিত করেছে হাইওয়ে পুলিশ। যেগুলো ঈদযাত্রার সময় দুর্ভোগ বাড়াতে পারে।

হাইওয়ে পুলিশ সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ঈদের আগে বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠনের নামে সড়কে চাঁদাবাজি করা হয়। এ ছাড়া সড়কের মাঝখানে বাস, মিনিবাস, লেগুনা ও ইজিবাইক থামিয়ে যাত্রী ওঠানামা করা, মহাসড়কজুড়ে তিন চাকার যান চলাচল, দুই পাশে বাস ও পণ্যবাহী ট্রাক থামিয়ে রাখা এবং সড়কের পাশে জমে থাকা ধুলার স্তরের কারণে যান চলাচল বাধাগ্রস্ত হয়।

গতকাল রোববার সকালে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ের কাঁচপুর থেকে আড়াইহাজারের পুরিন্দাবাজার পর্যন্ত ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের প্রায় ২১ কিলোমিটার ঘুরে নানা প্রতিবন্ধকতা চোখে পড়ে। সকাল সাড়ে নয়টার দিকে কাঁচপুর সেতুর নিচে শ্যামবাজার বাসস্ট্যান্ডে গিয়ে দেখা যায়, প্রবেশ মুখের বাঁ পাশ দখল করে অন্তত ১৩টি লেগুনা দাঁড়িয়ে আছে। একটি লেগুনা সড়কে আড়াআড়ি দাঁড়িয়ে যাত্রীর জন্য হাঁকডাক দিচ্ছে।

যাত্রামুড়া বাজার এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, সড়কের এক পাশ দখল করে বিভিন্ন স্পিনিং ও পেপার মিলের মালবোঝাই ছয়টি ট্রাক দাঁড়িয়ে আছে। বেলা সাড়ে ১০টার দিকে তাড়াবো চৌরাস্তায় গিয়ে মাঝারি আকারের যানজটে পড়তে হয়। কারণ খুঁজতে গিয়ে দেখা যায়, সড়কের দুই পাশ দখল করে গড়ে তোলা লেগুনাস্ট্যান্ডের লেগুনাগুলো সড়কে দাঁড়িয়ে যাত্রী তুলছে।

বরাব থেকে ভুলতা পর্যন্ত সড়কের দুই পাশ দখল করে বাস ও ট্রাক পার্ক করে রাখা হয়েছে। রূপসী মোড় ও ভুলতা উড়ালসড়কের নিচের অংশটুকু রিকশা, ইজিবাইক, সিএনজিচালিত অটোরিকশা ও লেগুনার দখলে। পুরো সড়কটির দুই পাশে ধুলার স্তর জমে আছে। এ ছাড়া সড়কের যেখানে সেখানে কার্পেট ফুলে উঠেছে, সড়কের পাশের কাঁচা অংশে তৈরি হয়েছে বড় গর্ত।

রূপসী মোড়ে কথা হয় হাইওয়ে পুলিশের উপপরিদর্শক আরশেক আলীর সঙ্গে। তিনি বলেন, বাসগুলো যেখানে সেখানে যাত্রী নেয়, কেউ নিয়ম মানতে চায় না। ঈদে এমন অবস্থা চলতে থাকলে যানজট নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন হবে।

কাঁচপুর হাইওয়ে পুলিশের ওসি সাজ্জাদ করিম বলেন, অবৈধ লেগুনাস্ট্যান্ড উচ্ছেদ করা হবে। তিন চাকার যান চলাচল বন্ধেও পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।

নারায়ণগঞ্জ সড়ক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ মেহেদী ইকবাল বলেন, সড়কের মাঝখানে ফুলে ওঠা কার্পেট কেটে সমান করে দেওয়া হবে। ঈদযাত্রা শুরুর আগেই ভরাট করা হবে সড়কের পাশের গর্তগুলো।