• আগস্ট ২৯, ২০২২
  • শীর্ষ খবর
  • 182
সাঁতারে বিশ্ব রেকর্ড গড়তে সিলেট থেকে যাত্রা করলেন ক্ষিতীন্দ্র

নিউজ ডেস্কঃ সাঁতারে বিশ্ব রেকর্ড গড়তে সিলেট থেকে যাত্রা শুরু করেছেন একুশে পদকপ্রাপ্ত ৭১ বছর বয়সী বীর মুক্তিযোদ্ধা ক্ষিতীন্দ্র চন্দ্র বৈশ্য। আজ সোমবার সকাল ছয়টায় সিলেটের কিনব্রিজ–সংলগ্ন সুরমা নদীর চাঁদনীঘাট থেকে সাঁতার শুরু করেন তিনি। টানা সাঁতার কেটে ২৮১ কিলোমিটার নদীপথ পাড়ি দিয়ে কিশোরগঞ্জের ভৈরব বাজার ফেরিঘাটে পৌঁছানোর লক্ষ্য ক্ষিতীন্দ্রের। এতে প্রায় ৭০ ঘণ্টা সময় লাগবে বলে জানা গেছে।

আজ সকাল ছয়টায় চাঁদনীঘাটে ক্ষিতীন্দ্র চন্দ্র সাঁতার শুরু করার আগে দর্শনার্থীরা সেখানে ভিড় করেন। সাঁতারের এই উদ্যোগে সহায়তা করছে বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সিলেট জেলা ইউনিট কমান্ড। এ ছাড়া সার্বিকভাবে সহযোগিতা করছে জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন, নৌ পুলিশ ও সিলেট সিভিল সার্জনের একটি দল। জরুরি সেবা দলটি নৌকায় সার্বক্ষণিক ক্ষিতীন্দ্রের সঙ্গে থাকবে।

সিলেটের ডেপুটি সিভিল সার্জন জন্মেজয় দত্ত বলেন, ‘ক্ষিতীন্দ্র চন্দ্র সাঁতারে নামার আগেই তাঁর শারীরিক বিভিন্ন পরীক্ষা–নিরীক্ষা করা হয়েছে। এ ছাড়া ক্ষিতীন্দ্র যতক্ষণ পানিতে অবস্থান করবেন, ততক্ষণ আমাদের চিকিৎসক দল তাঁর সঙ্গে থাকবে। নৌকায় অক্সিজেন সিলিন্ডার, নেবুলাইজার, জরুরি ওষুধপথ্যসহ চিকিৎসক দল অবস্থান করছে। বেলা ১১টা পর্যন্ত তাঁর শারীরিক কোনো সমস্যা হয়নি। সাঁতার কেটে বেলা ১১টায় তিনি সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার লামাকাজিতে পৌঁছান বলে জানা গেছে।

মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সিলেট জেলা ইউনিট কমান্ডের সাবেক সভাপতি সুব্রত চক্রবর্তী বলেন, ২৮১ কিলোমিটারের মধ্যে সুরমা নদীর ১৪৪ দশমিক ৩৯ কিলোমিটার, ধনু নদের ৮৪ দশমিক ৩১ কিলোমিটার, ঘোড়াউত্রা নদীর ৩৪ দশমিক ২৭ কিলোমিটার ও মেঘনা নদীর ১৮ দশমিক ৩৩ কিলোমিটার পাড়ি দেবেন ক্ষিতীন্দ্র। সাঁতার চলাকালে তিনি পানিতে খাওয়া-দাওয়াসহ যাবতীয় কাজ করবেন। সফলভাবে সাঁতার সম্পন্ন করলে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস কর্তৃপক্ষের স্বীকৃতির জন্য আবেদন করা হবে।

ক্ষিতীন্দ্র চন্দ্রের বাড়ি নেত্রকোনার মদন উপজেলার জাহাঙ্গীরপুর গ্রামে। বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের উপপরিচালক পদে থাকা অবস্থায় অবসরে যান তিনি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পদার্থবিদ্যায় এমএসসি পাস করা ক্ষিতীন্দ্র চন্দ্র সাঁতার কেটে এখন পর্যন্ত জাতীয় পর্যায়ে চারটি পুরস্কার পেয়েছেন।