• জুলাই ১৪, ২০২৩
  • খেলাধুলা
  • 87
সিলেটে শামীম-হৃদয়ের ব্যাটে এলো বাংলাদেশের জয়

ক্রীড়া ডেস্কঃ সিলেটের মাঠে প্রথম ম্যাচেই আফগানবদ করলো টাইগাররা।

টপ অর্ডার ব্যাটাররা ফিরলেন দ্রুত। আশা জাগিয়ে আউট হলেন সাকিব আল হাসানও।

বাংলাদেশের জন্য ম্যাচ জেতা হয়ে গেলো বেশ কঠিন। কিন্তু তাওহীদ হৃদয় ও শামীম হোসেন জুটি বাধলেন এরপর।
বুদ্ধিদীপ্ত ব্যাটিংয়ে ম্যাচ আনলেন নিজেদের নিয়ন্ত্রণে। শেষ ওভারে হ্যাটট্রিক করে ম্যাচ ফের জমিয়ে তোলেন করিম জানাত।

তবে দুর্দান্ত ইনিংসে ম্যাচ জিতিয়েই ফিরেছেন হৃদয়।
শুক্রবার সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে দুই ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথমটিতে আফগানিস্তানকে ২ উইকেটে হারিয়েছে বাংলাদেশ। শুরুতে ব্যাট করতে নেমে স্বাগতিকদের সামনে ১৫৫ রানের লক্ষ্য দেয় আফগানরা। ১ বল হাতে রেখেই ওই রান তাড়া করে বাংলাদেশ।

টস হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি আফগানিস্তানের। দুই উদ্বোধনী ব্যাটারের কেউই করতে পারেননি বড় রান। বাংলাদেশকে প্রথম ব্রেক থ্রু এনে দেন নাসুম আহমেদ। ১০ বলে ৮ রান করে সুইপ করতে গিয়ে তাওহীদ হৃদয়ের হাতে ক্যাচ দেন হজরতউল্লাহ জাজাই।

এরপর ২ চার ও ১ ছক্কায় ১১ বলে ১৬ রান করা আরেক উদ্বোধনী ব্যাটার রহমানউল্লাহ গুরবাজকে আউট করেন তাসকিন আহমেদ। তার স্লোয়ার বলে ক্যাচ দেন মেহেদী হাসান মিরাজের হাতে। পরের ব্যাটারদেরও খুব একটা থিতু হতে দেননি বাংলাদেশের বোলাররা।

তিনে নেমে ৬ বলে ৮ রান করে শরিফুল ইসলামের বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দেন ইব্রাহীম জাদরান। এ নিয়ে এবারের সফরে চতুর্থবার শরিফুলের শিকার হলেন এই আফগান ব্যাটার। ৯ বলে ৩ রান করা করিম জানাতকে ফেরান সাকিব আল হাসান। এরপরই বেশ ভালো জুটি পায় আফগানিস্তান। নজিবউল্লাহ জাদরানের সঙ্গে ৩৫ রানের জুটি গড়েন মোহাম্মদ নবি।

২৩ বলে ২৩ রান করা নাজিবউল্লাহ মিরাজের বলে লিটনকে ক্যাচ দিলে ভাঙে এই জুটি। তার বিদায়ের পর আফগানিস্তানের রানের গতি বেড়ে যায়। উইকেটে আসা আজমতউল্লাহ ওমরজাই আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করেন, হাত খোলেন মোহাম্মদ নবিও। টানা তিন ওভারে প্রথম বলে ছক্কা হাঁকায় আফগানরা।

১৯তম ওভারে টানা দুই বলে সাকিবকে ছক্কা মারেন ওমরজাই। ওই ওভারের শেষ বলে অবশ্য তিনি আউট হয়ে যান। তাসকিনের হাতে ক্যাচ দেওয়ার আগে ১৮ বলে করেন ৩৩ রান। হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেওয়া নবি শেষ অবধি অপরাজিত থেকে ৬ চার ও ১ ছক্কায় ৪০ বলে করেছেন ৫৪ রান।

জবাব দিতে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি বাংলাদেশের। ফজল হক ফারুকীর বলে চার হাঁকিয়ে ওই ওভারেই সাজঘরে ফেরেন রনি তালুকদার। বোল্ড হওয়ার আগে এই উদ্বোধনী ব্যাটার ৫ বলে করেন ৪ রান। ২ চারে ১৯ বলে ১৮ রান করে আজমতউল্লাহ ওমরজাইয়ের বলে সহজ ক্যাচ দিয়ে ফেরেন আরেক ওপেনার লিটন দাস।

তিনে খেলতে নামা নাজমুল হোসেন শান্ত আউট হন অদ্ভূতভাবে। মুজিব উর রহমানের বলে শট খেলতে গিয়ে বল শান্তর হাতে লেগে অনেক দূর থেকে চলে যায় স্টাম্পে। ১২ বল খেলে ১৪ রান করে শান্ত সাজঘরে ফেরেন।

এরপর হৃদয়ের সঙ্গে সাকিবের জুটিতে কিছুটা আশা জাগে। কিন্তু ১৫ বলে ১৯ রান করে ফরিদ আহমেদের বলে করিম জিনাতের হাতে ক্যাচ দেন সাকিব। ভেঙে যায় দুজনের ২৫ রানের জুটি। বাংলাদেশের জয়ের স্বপ্নও খায় বড় ধাক্কা। ৪৮ বলে এক সময় দরকার ছিল ৭৮ রান।

কিন্তু ওমরজাইয়ের করা ১৩তম ওভারে সমীকরণ অনেকটা বদলে যায়। এই ওভার থেকে ২১ রান আসে। মাঝে ১৬ রান আসে ফারুকীর করা ১৭তম ওভারে। রশিদ খানের বলে স্লগ সুইপ করতে গিয়ে আউট হন শামীম। ৪ চারে ২৫ বলে ৩৩ রান করে আউট হন তিনি। ভাঙে হৃদয়ের সঙ্গে ৪৩ বলে তার ৭৩ রানের জুটি। এরপরও সমীকরণ সহজই ছিল।

শেষ ওভারে দরকার ছিল ৬ রান। প্রথম বলেই চার হাঁকিয়ে কাজটা আরও সহজ করেন মিরাজ। কিন্তু করিমের টানা তিন বলে ফেরেন মিরাজ, তাসকিন ও নাসুম। ফের ম্যাচের মোড় বদলে যাওয়ার সম্ভাবনা জাগে। কিন্তু পঞ্চম বলে চার মেরে ম্যাচে জয় নিশ্চিত করেন শরিফুল। ৩ চার ও ২ ছক্কার দুর্দান্ত ইনিংসে ৩২ বলে ৪৭ রান করে অপরাজিত থাকেন হৃদয়।