• অক্টোবর ৩১, ২০২৩
  • জাতীয়
  • 198
মির্জা আব্বাস ও আলাল গ্রেপ্তার

নিউজ ডেস্কঃ বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস ও দলটির যুগ্ম মহাসচিব মোয়াজ্জেম হোসেন আলালকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার (৩১ অক্টোবর) রাতে রাজধানীর শাজাহানপুর থানার শহীদবাগ এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি) হারুন অর রশীদ।

তিনি বলেন, গত ২৮ অক্টোবর মহাসমাবেশের নামে সহিংসতা ও নাশকতার ঘটনায় দায়ের করা বেশ কয়েকটি মামলার আসামি মির্জা আব্বাস ও মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল। তাদের গ্রেপ্তার করে ডিবি হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। আগামীকাল তাদের আদালতে সোপর্দ করা হবে।

তিনি আরও জানান, বিএনপির এ দুই নেতাকেই শাহজাহানপুর থানার শহীদবাগ এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।

বিএনপির মহাসমাবেশের দিন পুলিশকে পিটিয়ে হত্যা এবং পুলিশের অস্ত্র ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগে গত রোববার শাজাহানপুর থানায় মামলা করে পুলিশ। এতে মির্জা আব্বাসসহ বিএনপির ৮ শতাধিক নেতাকর্মীকে আসামি করা হয়। ওই মামলায় মির্জা আব্বাস ও আলালকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।

উল্লেখ্য, শনিবার (২৮ অক্টোবর) বিএনপি, আওয়ামী লীগ ও জামায়াতে ইসলামী ঢাকায় সমাবেশ করে। দুপুরের পর কাকরাইল এলাকায় বিএনপির সমাবেশে আসা লোকজনের সঙ্গে আওয়ামী লীগের সমাবেশগামী লোকজনের সংঘর্ষ হয়। এসময় প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলার ঘটনা ঘটে। ছবি তুলতে যাওয়া অনেক সাংবাদিককে তখন মারধর করা হয়। একদল যুবক কাকরাইলের আইডিইবি ভবনে ঢুকে কয়েকটি মাইক্রোবাসে আগুন লাগিয়ে দেয়।

এরপর পুলিশ বড় ধরনের অ্যাকশনে যায়। সাউন্ড গ্রেনেড ও টিয়ার শেল ছুড়ে তারা বিএনপি নেতাকর্মীদের সড়ক থেকে সরিয়ে দেওয়া শুরু করে। এক পর্যায়ে ধাওয়া দিয়ে তারা নয়াপল্টনের মহাসমাবেশও পণ্ড করে দেয়। ধাওয়া খেয়ে বিএনপির নেতাকর্মীরা চারদিকে ছড়িয়ে পড়েন। পরে নয়াপল্টন, পুরানা পল্টন মোড় ও আশপাশের বিভিন্ন স্থানে বিএনপি-পুলিশ-আওয়ামী লীগের সংঘর্ষ হয়।

এসব ঘটনায় বিএনপির বহু নেতাকর্মীর পাশাপাশি অনেক পুলিশ সদস্য ও সাংবাদিকরা আহত হন। নয়াপল্টন এলাকায় এক পুলিশ সদস্যকে নির্মমভাবে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। একইসময় আরও এক পুলিশ সদস্যকে লাঠি দিয়ে গণপিটিুনি দেওয়া হয়। মাথায় হেলমেট থাকায় তিনি প্রাণে বেঁচে যান।

এসব ঘটনা চলাকালে এবং পরে সন্ধ্যা ও রাত পর্যন্ত ঢাকার বিভিন্ন স্থানে ৫টি বাসে আগুন দেওয়া হয়। রাজারবাগ কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালে হামলা চালিয়ে কয়েকটি অ্যাম্বুলেন্স ও গাড়িতে অগ্নিসংযোগ করা হয়। এসময় পুলিশ হাসপাতালের সামনে এক ব্যক্তি নিহত হন। বিএনপি দাবি করেছে তিনি তাদের কর্মী।

ঢাকার এসব ঘটনার আঁচ লাগে জেলা পর্যায়েও। রাতে সাভার, গাজীপুর, মুন্সীগঞ্জসহ বিভিন্ন জেলায় বাসে আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটে।

পুলিশি বাধায় সমাবেশ পণ্ড হওয়ার প্রতিবাদে রোববার সারা দেশে সকাল-সন্ধ্যা হরতাল ডাকে বিএনপি।