• ডিসেম্বর ১২, ২০২৩
  • লিড নিউস
  • 105
দুই চেয়ারম্যানের মোবাইল নম্বর ক্লোন করে প্রতারণা

হবিগঞ্জ প্রতিনিধিঃ হবিগঞ্জে দুই উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যানের ব্যবহৃত মোবাইল নম্বর ক্লোন করে টাকা দাবির অভিযোগ উঠেছে।

মঙ্গলবার (১২ ডিসেম্বর) দুই ঘটনায় জেলার শায়েস্তাগঞ্জ ও লাখাই থানায় তারা আলাদা দুটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন।

ভুক্তভোগীরা হলেন- শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুর রশিদ তালুকদার ইকবাল এবং লাখাই উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট মুশফিউল আলম আজাদ।

মুশফিউল আলম আজাদ জানান, সোমবার বিকেলে তার ব্যবহৃত হোয়াটসঅ্যাপ নম্বর থেকে বেশ কয়েকজন নেতাকর্মীর কাছে টাকা চায় প্রতারক চক্র। পরে নম্বরটি ক্লোন হয়েছে বুঝতে পেরে তিনি লাখাই থানায় জিডি (নম্বর-৫১২) করেন।

এর আগে রোববার আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের নামে কল দিয়ে তার কাছ থেকে একটি ওটিপি কোড নেওয়া হয় বলেও তিনি জানান।

একইভাবে মোবাইল নম্বর ক্লোন করে শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুর রশিদ তালুকদার ইকবালের নামেও তার পরিচিতদের কাছে চাঁদা চাওয়া হয়। সন্ধ্যায় এ ঘটনায় শায়েস্তাগঞ্জ থানায় জিডি (নম্বর-৫৫০) করা হয়েছে।

আব্দুর রশিদ তালুকদার ইকবাল জানান, আলমগীর নামে একজন প্রতারক চক্রের বিকাশ নম্বরে ২০ হাজার টাকা পাঠিয়েছেন। অন্য কেউ যেন প্রতারণার শিকার না হয় সেজন্য ফেসবুকে বিষয়টি প্রচার করা হয়েছে।

লাখাই উপজেলার বুল্লা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট খোকন চন্দ্র গোপ বলেন, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যানের হোয়াটসঅ্যাপ নম্বর থেকে আমার কাছে টাকা চাওয়া হয়েছিল। পরে আমি তার সঙ্গে যোগাযোগ করে বুঝতে পারি নম্বরটি ক্লোন হয়েছে।

এদিকে আব্দুর রশিদ তালুকদার ইকবাল শায়েস্তাগঞ্জ এবং মুশফিউল আলম আজাদ লাখাই উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তাদের নামে টাকা চাওয়ার ঘটনা পুরো জেলায় ছড়িয়ে পড়েছে।

এ বিষয়ে লাখাই থানার পরিদর্শক (তদন্ত) চম্পক ধাম জানান, খবর পাওয়ার পরই প্রতারক চক্রকে শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনার চেষ্টা শুরু করেছে পুলিশ।

শায়েস্তাগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোবারক হোসেন জানান, সাধারণ ডায়েরিটি জেলা পুলিশের সাইবার ক্রাইম ইউনিটে পাঠানো হচ্ছে।