• এপ্রিল ১৬, ২০২৪
  • শীর্ষ খবর
  • 17
পলাতক আসামি পালিয়ে যাওয়ার সময় পুলিশের লাঠির আঘাতে মৃত্যুর অভিযোগ

সুনামগঞ্জ প্রতিনিধিঃ মামলার ওয়ারেন্টভুক্ত পলাতক আসামিকে গ্রেপ্তারের সময় পুলিশের লাঠির আঘাত ও ধস্তাধস্তিতে রমিজ মিয়া (৬০) নামে এক বৃদ্ধ মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) সন্ধ্যা ৬টার দিকে উপজেলার উত্তর শ্রীপুর ইউনিয়নের বুরুঙ্গাছড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। আসামি রমিজ সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার উত্তর শ্রীপুর ইউনিয়নের বাসিন্দা।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, পলাতক আসামি রমিজ মিয়াকে ধরার জন্য পুলিশ এলে দেখে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন রমিজ মিয়া। পালিয়ে যাওয়ার সময় পুলিশের হাতে থাকা নারিকেল গাছের ডাল দিয়ে পেছন থেকে রমিজ মিয়ার পিঠে আঘাত করেন এক পুলিশ সদস্য। আঘাত পেয়ে পালিয়ে গিয়ে আরেক বাড়িতে লুটিয়ে পড়েন রমিজ মিয়া। পরে স্থানীয়রা উদ্ধার করে হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

ঘটনাস্থলে থাকা তাহিরপুর উপজেলা পরিষদ ভাইস চেয়ারম্যান পার্শ্ববর্তী বড়ছড়া গ্রামের বাসিন্দা রিয়াজ উদ্দিন খন্দকার লিটন জানান, তাহিরপুর থানা পুলিশের এএসআই জিয়া উদ্দিন বুরুঙ্গা ছড়া গ্রামের মামলার পলাতক আসামি রমিজ মিয়াকে গ্রেপ্তার করতে যান। পুলিশ দেখে আসামি পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। এসময় নারিকেল গাছের ডাগুয়া (ডাল) দিয়ে আসামির পিঠে আঘাত করেন এক পুলিশ সদস্য। তখন তার নাকমুখ দিয়ে রক্ত আসে।

রমিজের ছেলে সাইদুল ইসলামের অভিযোগ পুলিশের লাঠির আঘাত ও ধস্তাধস্তিতে তার বাবা মারা গেছেন।  তাহিরপুর থানা পুলিশের এএসআই জিয়াউর রহমান জানান, তিনি আসামি ধরতে গেলে ঘটনাস্থল থেকে রমিজ মিয়া পালিয়ে যায়। এরপর তিনি থানায় চলে আসেন।

তাহিরপুর থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ মো. নাজিম উদ্দিন বলেন, রমিজ মিয়ার নামে তাহিরপুর থানায় কয়েকটি মামলা রয়েছে। সব কয়টিতে জামিনে থাকলেও একটি মামলায় পলাতক তিনি। তাকে ধরতে পুলিশ গেলে তিনি পালিয়ে যান। দৌড়ে যাওয়ার সময় পড়ে রক্তাক্ত হয়। স্থানীয়রা উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়ার পর তিনি মারা যান। তিনি হার্ট এবং যক্ষার রোগী ছিলেন। এ ঘটনায় পুলিশের কোনো গাফিলতি থাকলে সিনিয়র অফিসাররা ব্যবস্থা নেবেন।

এ ঘটনায় একই দিন রাত ১১টায় সুনামগঞ্জের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ এহসান শাহ প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে অভিযোগের বিষয়ে অস্বীকার করেন। প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে তিনি জানান, এএসআই জিয়াউর রহমান পলাতক আসামি গ্রেপ্তার করতে পেলে আসামি টের পেয়ে পালিয়ে যায়। পিছু পিছু তার বাড়ি গিয়েও পুলিশ তাকে খুঁজে পায়নি। পরবর্তীতে তারা আসামির মৃত্যুর খবর পান